নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়ের প্রলোভনে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজাশাহী সিটি করপোরেশনের কম্পিউটার অপারেটর তাজমুরাদ লিটনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক লিটন নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন তালাইমারী বাদুড়তলা এলাকার বাসিন্দা। ওই ছাত্রী রাজশাহী কলেজে অনার্সে অধ্যায়নরত। শনিবার দিবাগত রাতে নগরীর মতিহার থানায় ওই কলেজ ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় পুলিশ তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেছে।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত এক বছর পূর্বে ওই শিক্ষার্থী সিটি কর্পোরেশনে কাজের জন্য যায়। সেখানেই লিটনের সাথে তার পরিচয় হয়। তারপর থেকে লিটনের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা ও একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিটন একাধিকবার তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
শনিবার ৩ অক্টোবর ওই শিক্ষার্থীর বড় বোনের বাড়ি বুধপাড়া এলাকায় লিটন ওই শিক্ষার্থীর সাথে যায়। তার বোন বাড়ি থেকে বাইরে গেলে লিটন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। তার বোন ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো। ওই সময় তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে মতিহার থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তাকে সেই মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
এস/আর