খবর২৪ ঘণ্টা. ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে এল একটি লাভ জিহাদের ঘটনা৷ স্বামীর বিরুদ্ধে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ করলেন এক মহিলা৷ অভিযুক্ত স্বামীর নাম মহম্মদ রেয়াজ৷ এই মামলার তদন্তভার নিয়েছে এনআই৷
জন্মসূত্রে কেরলের বাসিন্দা ওই মহিলার অভিযোগ, প্ররোচনার মাধ্যমে তাকে বিয়ে করে মহম্মদ ৷ ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে৷ সিরিয়ার আইএসআইএস-এর কাছে তাকে সেক্স স্লেভ হিসাবে বিক্রি করার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ তাঁর৷ তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের পর জোর করে মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয় তাঁকে৷ বাধ্য করা হয় ইসলামের মতবাদ শিখতে৷
লিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামীর সঙ্গে পিএফআই-এর যোগ রয়েছে৷ পিএফআই-কে আইএসআইএস-এর কেরল শাখা বলা হয়৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত মহম্মদ রেয়াজ৷
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা করার সময় প্রথম ওই মহিলার সঙ্গে মহম্মদের যোগাযোগ হয়৷ ২০১৬ সালের মে মাসে তাদের বিয়ে হয়৷ মহিলার অভিযোগ, বিয়ের পরই এক মুসলিম নামের পাসপোর্টের আবেদন করা হয় তার জন্য৷ তারপর তাকে সৌদি আরবে নিয়ে যান তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি৷ তাকে বলা হয় স্বামী মহম্মদ ওখানে কাজ করেন ও তিনি ওখানে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকবেন৷ কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার পর থেকেই ছবিটা উল্টো হয় যায়৷
অভিযোগকারী মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার করা হত৷ সেখানে থাকাকালীন তিনি জানতে পারেন তাঁকে সিরিয়া, আফগানিস্তান বা কোনও আইএসআইএস ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে মহম্মদ৷ বিষয়টি জানার পরপরই ২০১৬-র অক্টোবরে গুজরাতে ফিরে আসেন তিনি৷ বর্তমানে গুজরাতের জামনগরে রয়েছেন৷
দেশে ফিরে প্রথমে স্থানীয় পুলিশের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি ফর্মাল অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷ বিষয়টি নিয়ে তদন্তও শুরু করে পুলিশ৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহম্মদের ঘনিষ্ঠ দুজনকে গ্রেফতারও করেন তারা৷ সম্প্রতি কেরালা হাইকোর্টের কাজে কেসটির তদন্তের রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তারপরই এনআই তুলে নেয় তদন্তের দায়িত্বভার৷
খবর ২৪ ঘণ্টা.কম/ জন