মান্দা প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় জাকিয়া সুলতানা সুমি (১৪) নামে এক কিশোরী নববধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের নিজকুলিহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ওয়াহেদ আলী জয়কে (২২) আটক করা হয়েছে।
আটক জয় নিজকুলিহার গ্রামের ইমরান হোসেন বাবুর ছেলে ও নিহত সুমি একই ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। এদিকে, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, প্রেমের সম্পর্ক ধরে প্রায় চার মাস আগে কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে সুমি আক্তারের সঙ্গে জয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই ছিল। একই সঙ্গে মোটা অংকের টাকা যৌতুক দাবিতে সুমির ওপর নির্যাতন শুরু করে স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন। জের ধরে শুক্রবার দিনভর নববধূর ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
নিহত সুমির বাবা জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, জামাই জয় মোবাইলর ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়ে সুমিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই জামাই জয়সহ পরিবারের লোকজন ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে তার ওপর নির্যাতন করে আসছিল। একই জের ধরে মেয়ে সুমিকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে মান্দা থানার পরিদর্শক তদন্ত তারেকুর রহমান সরকার জানান, শুক্রবার রাতে স্বামীর বাড়ির শয়নকক্ষের জানালার গ্রিলে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সুমির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুমির মুখ ও গলা দিয়ে রক্ত বের হওয়ায় নিহতের বাবা-মায়ের
দাবি তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ জানালার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে হত্যার এ ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলেই এর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনায় নিহতের মা আসমা খাতুন বাদি হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় জয়কে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এমকে