1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
১৭ দিন কারাভোগ করে পুরো মাসের বেতন উত্তোলন! - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ০২:৫৮ অপরাহ্ন

১৭ দিন কারাভোগ করে পুরো মাসের বেতন উত্তোলন!

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১০ সেপটেম্বর, ২০২০

শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ মামলায় ১৭দিন জেলহাজতে থাকার পরেও কমিউনিটি হেলথকেয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মনিরুজ্জামান প্লাবন গত আগস্ট মাসের অর্ধেকটা সময় জেল হাজতে থাকলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। উপরন্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে পুরো সময়ের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার খানপুর দহপাড়ার এক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি গ্রাম্য শালিসী বৈঠকে ধর্ষিতার নামে ১৫ শতক জমি লিখে দিয়ে ধামাচাপা দেয়া হয়। গ্রাম্য শালিসের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের ও খানপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মনিরুজ্জামান প্লাবণ। পরবর্তিতে ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৬ আগস্ট মনিরুজ্জামান প্লাবণসহ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন। ১৭ দিন জেলহাজতে থাকার পর মনিরুজ্জামান প্লাবন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট থেকে চাকরির প্রত্যয়ণপত্র নিয়ে আদালতে জমা দিয়ে সে জামিন নেন।
এদিকে ১৭ দিন বগুড়া জেল হাজতে কারাভোগ থাকলেও অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান প্লাবণের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উপরোন্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে ২ সেপ্টেম্বর জেলে থাকা অবস্থায় পুরো আগস্ট মাসের সরকারি বেতনভাতা উত্তোলনে সহযোগীতা করে উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী, কোন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে গেলে তিনি সাময়িকভাবে বরখাস্ত হবেন। আর মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সরকারি সুযোগ-সুবিধাসহ বেতনের অর্ধেক পাবেন।
এ বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মনিরুজ্জামান প্লাবণ জানান, আমি গত ৫ আগস্ট সিলেট যাওয়ার জন্য দশ দিনের ছুটি চেয়েছিলাম। সেটাই কাজে লেগেছে। এখন জামিনে আছি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই নিয়মিতভাবেই দাফতরিক সব কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের জানান, ওই সিএইচসিপি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের বিষয়টি অফিসিয়ালিভাবে জানি না। লিখিতভাবে কেউ জানায়নি। তাই তিনি জেলে ছিল না কি কোথায় ছিল তা আমার জানা নেই।
এ প্রসঙ্গে বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজার রহমান তুহিন বলেন, নিয়মানুযায়ী ওই সিএইচসিপি সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার কথা। কিন্তু কেন হয়নি, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST