রামেক হাসপাতালের নার্সের সাথে নারী কর্মচারীর অসামাজিক কার্যকলাপ,তদন্ত কমটি গঠন
প্রকাশের সময় :
সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সের সাথে ডিউটি চলাকালীন সময়ে এক নারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের পর দেখে ফেলায় অন্য নার্সদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের প্রধান প্রফেসর মোসাদ্দেক হোসেন কে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সচিব হাসপাতালের সহকারী পরিচালক প্রশাসন মাহফুজুর রহমান। অন্য দুই সদস্য হলেন, ডা. দ্বীন মোহাম্মদ সোহেল ও নাসিং সুপার আলিয়ারা খাতুন।
কমিটির দুই সদস্যকে ঘিরে নার্সদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন নার্স অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও একই ঘটনায় করা কমিটির দুইজন হলেও একজনের শাস্তি হয়। তাই তারা সুষ্ঠ তদন্ত নাও পেতে পারেন বলে শঙ্কা করছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের সরকারি নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, এটা অফিসিয়ালি বিষয়। জানতে হলে অফিসে আসবেন। কমিটি হয়েছে কিনা শুধু তা জানতে কল দেওয়া হয়েছে জানালে তিনি কমিটি হয়েছে জানিয়ে বলেন, এত ছোট বিষয়ের জন্য পরিচালককে কল দিতে হবে? অন্য কারো কাছ থেকে জানলেও হতো।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ব্লাড ব্যাংকের প্রধান প্রফেসর মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, কমিটি হয়েছে। এখনো তদন্ত শুরু হয়নি। শীঘ্রই তদন্ত শুরু হবে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক প্রশাসন কমিটির সচিব মাহফুজুর রহমান বলেন, চিঠি পেয়েছি তদন্ত শুরু হয়নি। তদন্ত শুরু করা হবে।
কমিটির সদস্য ডা. দ্বীন মোহাম্মদ সোহেল বলেন, এখানো আমি চিঠি পাইনি। আরেক সদস্য হাসপাতালের নার্সিং সুপার আলিয়ারা খাতুন বলেন, কমিটির সদস্য হিসেবে সুষ্ঠ তদন্ত করা হবে। এখনো তদন্ত শুরু হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালের মেইন ষ্টোরের ইন্সট্রুমেন্ট কেয়ারটেকার নগরীর সিপাইপাড়ার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের পাশের এক মেসে গিয়ে একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সের সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ উঠে।
বিষয়টি ওই মেসে থাকা অন্য কয়েকজন নার্স দেখে ফেলেন। কিন্তু ওই নারী কর্মচারী রামেক হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে গিয়ে উল্টো ঘটনাটি কারো কাছে প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেয়।
এরপর ভুক্তভোগীরা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরই ঘটনা তদন্তে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।