বিশেষ প্রতিনিধি : উত্তরবঙ্গের শিক্ষানগরী হিসেবে খ্যাত রাজশাহী মহানগরীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। আর পদ্মা নদী পার হলেই চর এলাকা। চর পার হলেই ভারত। নদী পথেই অনেক চোরাকারবারি ভারত থেকে নিয়ে আসছে মাদকের চালান। আর এখন বর্ষাকাল হওয়ায় সুবিধা আরো বেড়েছে এসব চোরাকারবারীদের। চোরকারবারিরা প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা ও হেরোইন নিয়ে আসছে রাজশাহী মহানরীতে। নদী পার হয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিচ্ছে এসব মাদকদ্রব্য। সহজেই এই মাদক পাওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যুব সমাজ।
বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে সবকিছু স্থবির হয়ে যাওয়ায় এই সুযোগ আরো কাজে লাগাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নতুন নতুন কৌশল। নগরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় এখন মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ও মাদকসেবীর সংখ্যাও বেড়েছে অনেক। খবর ২৪ ঘণ্টার
অনুসন্ধানে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। শুধু সমাজের বখাটে শ্রেণীই নয় স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী জড়িয়ে পড়েছে মাদক সেবনের মতো জঘন্য কাছে। আগামী দিনের ভবিষ্যত প্রজন্ম মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক।
খবর ২৪ ঘণ্টার অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে নিয়ে আসা মাদকদ্রব্য নগরে ঢোকার পর তা বিভিন্ন বহনকারীর মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছে যায়। অনেক সময় পুলিশের হাতে সামান্য মাদকদ্রব্য নিয়ে দুই/একজন ধরা পড়লেও বেশির ভাগ বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এ কারণে মাদকের কারবার বন্ধ হচ্ছে না।
নগরীর যেসব এলাকায় মাদকের ব্যবসা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো, নগরীর বোয়ালিয়া থানাধিন পাচানীমাঠ, পঞ্চবটি, খরবোনা, কেদুর মোড় নদীর পাড়, হাদির মোড় নদীর পাড়, শহিদ মিনার এলাকায় মাদকের ব্যবসা হয়। গুড়িপাড়া, পঞ্চবটি, খরবোনা, কেদুর মোড়, হাদির মোড়, শেখেরচক, সাগরপাড়া, টিকাপাড়া, বাস টার্মিনাল এলাকা, খুলিপাড়া, শিরোইল কলোনী, খড়খড়ি বাইপাস এলাকা, বারো রাস্তার মোড়, ট্রাক টার্মিনাল, সিপাইপাড়া, হোসনিগঞ্জ, লক্ষীপুর কাঁচাবাজার, ভাটাপাড়া, হড়গ্রাম পূর্বপাড়া
(বাগানপাড়া), টুলটুলিপাড়া মোড়, কাঁঠালবাড়িয়া, বায়ার মোড়, নওদাপাড়া, কোর্ট মোল্লাপাড়া, বুধপাড়া, জাহাজঘাট ও মিজানের মোড় ও জামিরা, ভড়–য়াপাড়া।
খোঁজ নিয়ে আরো জানায়, এসব মাদক ব্যবসায়ীরা নগরের বিভিন্ন থানার অসাধু পুলিশ সদস্যদের ছত্রছায়ায় ব্যবসা করে। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যদের নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে এসব কারবার চালাচ্ছে। ইতিপূর্বেও এসব পুলিশ সদস্যদের একাধিক অভিযোগ উঠলেও অজ্ঞাত কারণে ব্যবস্থা নেয়া হয়না। যার কারণে তারা দীর্ঘদিন বহাল তবিয়তে রয়েছে। যদিও আরএমপির উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কোন মাদক ব্যবসায়ী বা যদি কোন পুলিশ সদস্য এর সাথে জড়িয়ে পড়ে তাহলে কোনভাবে ছাড় দেয়া হবে না।
কিন্তু পুলিশের একটি সূত্র বলছে, যারা পুলিশ কন্সটেবল থেকে এএসআই ও পরে পদোন্নতি পেয়ে এসআই হয়েছেন তারাই বেশি অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন। এ ছাড়াও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ দুই থানার ওসির বিরুদ্ধেও রয়েছে একই অভিযোগ। এই দুই থানার ওসির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তরেও মাদক সংশ্লিষ্টতাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাÐের ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে।
নগরের সচেতন মানুষ বলছেন করোনার সময় অনেক পুলিশ সদস্য ভালো কাজ করে নিজের জীবন দিয়ে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি। গুটি কয়েক পুলিশ সদস্যের কারণে অনেক ভালো ভালো কাজ ¤øান হয়ে যাচ্ছে। তাই যারা অপরাধমূলক কর্মকাÐের সাথে জড়িয়ে পড়েন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি কোন অসাধু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে
তাকে দেখে অন্যরা কেউ খারাপ বা মাদক সংশ্লিষ্টতায় জড়িয়ে পড়ার সাহস করবেনা।
যেসব পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন, নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই (নিঃ) মো. গোলাম মোস্তফা বিপি নম্বর-৮৪০৪০৮৩২৭৬, নিজ জেলা রাজশাহী। ২০০৪ সালে তিনি পুলিশ কন্সটেবল পদে যোগদান করেন। তিনি আরএমপিতে আসেন ২০০৭ সালের ২৪ মে। এএসআই পদে পদোন্নতি পান ২০১২ সালের ৭ জুলাই। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারী এসআই পদে পদোন্নতি পান। তিনি আরএমপির পিওএম বিভাগে ছিলেন ২০০৮ সাল পর্যন্ত। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে ছিলেন ২০১২ সাল পর্যন্ত। বোয়ালিয়া মডেল থানায় যোগদান করেন ২০১২ সালের ১৫ জুলাই। তিনি সেখানে থাকেন ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত। ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারী তিনি আবার বোয়ালিয়া মডেল থানায় এসআই হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন। চাকুরী জীবনের ১০ বছরই তিনি আরএমপিতে কর্মরত রয়েছেন। এ থানায় যোগদানের পর থেকেই তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। দীর্ঘদিন এক থানায় থাকার সুবাধে সিনিয়র কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অর্থ বাণিজ্য শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে তিনি
দীর্ঘদিন আরএমপিতে থাকার সুবাধে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলাসহ মাদক কেনাবেচায় সহায়তা ও ওয়ারেন্ট তামিল করতে উৎকোচ গ্রহণ করে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এক থানা থেকে অন্য থানা রাজপাড়ার তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকার বাক্কারের বাড়িতে গত ২২ মার্চ গভীর রাতে প্রবেশ করে বিনা কারণেই হয়রানি করেন ও ভাংচুর করেন জিনিসপত্র। ভুক্তভোগী পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলেও খবর ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছে।
এসআই মো. সেলিম রেজা (নিঃ), বিপি নম্বর-৭৪৯৫০০০১৮৫, মতিহার থানা। নিজ জেলা গোদাগাড়ী , রাজশাহী। তিনি ১৯৯৫ সালের ২৯ জুলাই কন্সটেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। তিনি ২০০৯
সালের ১৭ জুন আরএমপিতে যোগদান করেন। এএসআই পদে পদোন্নতি পান ২০০৭ সালের ২৬ নভেম্বর। এসআই পদে পদোন্নতি পান ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারী। আরএমপিতে তিনি গোয়েন্দা শাখা, সিটিএসবি, মেট্রেকোট, মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ি, সিটিএসবি, বোয়ালিয়া মডেল থানা, বেলপুকুর থানায় কর্মরত ছিলেন । বর্তমানে তিনি মতিহার থানায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি আরএমপিতে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি এক ইউনিটেই দীর্ঘদিন থাকার সুবাধে মাদক ব্যবসায়ী ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাবারক হোসেন এসআই (নিঃ) , বিপি নং-৭২৯২০৫০১৬৩ , নিজ জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তিনি ১৯৯২ সালের ৫ নভেম্বর । আরএমপিতে যোগদান করেন ১৯৯২ সালের ৬ নভেম্বর। তার প্রথম কর্মস্থল আরএমপি। এএসআই পদে পদোন্নতি পান ২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল । চাকুরী জীবনের ২৮ বছরের মধ্যে ১৮ বছরই তিনি আরএমপিতে কর্মরত
ছিলেন। বর্তমানেও তিনি আরএমপির এয়ারপোর্ট থানায় কর্মরত রয়েছেন। আরএমপিতে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। আরো-ওয়ান থাকাকালীন তিনি অসাধু বেশ কিছু পুলিশ সদস্যদের পোস্টিংয়ে সহযোগিতা করে উৎকোচ গ্রহণ করাসহ নিজস্ব সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।
এসআই (নিঃ) আব্দুর রশিদ, বিপি নং-৭৯৯৮০৫০৫৮২ , নিজ জেলা লালমনিরহাট । চাকুরীতে কন্সটেবল পদে যোগদান করেন ১৯৯৮ সালের ২৬ মে। আরএমপিতে যোগদান করেন ২০০৩ সালের ১৬ মে। এএসআই পদে পদোন্নতি পান ২০০৯ সালের ১০ আগস্ট। এসআই পদে পদোন্নতি পান ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর। তিনি ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত আরএমপিতে কর্মরত রয়েছেন। ২০০৯ সালের ১১
আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত আরএমপির কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিসে আরো-টু হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন আরএমপির রিজার্ভ অফিসে থাকার সুবাধে সরকারী কোয়ার্টার অন্যের নামে বরাদ্দ করে নিজে স্ব-পরিবারে বসবাস করার অভিযোগ রয়েছে। পোস্টিং করতে সহযোগিতার কথা বলে সিনিয়র অফিসারদের নামে উৎকোচ গ্রহণেরও অভিযোগ উঠেছে।
রাজপাড়া থানার এসআই শরিফুল ইসলাম (নিঃ), বিপি নং-৭৮৯৮০৫১০৯২ , নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ। তিনি ১৯৯৮ সালের ৬ জুন কন্সটেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। তিনি ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে আরএমপিতে যোগদান করেন। এএসআই পদে পদোন্নতি পান ২০০৯ সালের ১০ আগস্ট। এসআই পদে পদোন্নতি পান ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর। তিনি চাকুরী জীবনের ২২ বছরের দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আরএমপিতেই কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজপাড়া থানায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি আরএমপির এসএএফ শাখা, রাজপাড়া থানা, রাজশাহী কলেজ ফাঁড়ি, গোয়েন্দা শাখা, রাজপাড়া থানা, বোয়ালিয়া মডেল থানা ও বর্তমানে রাজপাড়া থানা। ১৭ বছরের প্রায় ১ যুগ তিনি রাজপাড়া থানায়
কর্মরত রয়েছেন। তিনি ওয়ারেন্ট অফিসার এর দায়িত্ব পালন করায় অসাধু স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলাসহ মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক কেনাবেচায় সহায়তা ও ওয়ারেন্ট তামিলের নামে উৎকোচ গ্রহণ। এ ছাড়াও আরো একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও বেলপুকুর থানার শফিকুল ইসলাম, বিপি নং-৮২০২০১৮৭৯ । স্থানীয়দের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে , তিনি থানা এলাকার অনেক অসহায় মানুষকে বিনা কারণে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করেন। এএসআই মাহবুব রাজপাড়া থানায় কন্সটেবল থেকে পদোন্নতি পেয়ে এএসআই পর্যন্ত ৬ বছর ধরে একই থানায় কর্মরত রয়েছেন। এএসআই কামরুজ্জামান বেলপুকুর থানা, বিপি নং-৭৪৯৫০৫০৫৭৯ । নিজ উপজেলা দুর্গাপুর। আরএমপিতে কয়েক বছর ধরে রয়েছেন।
মতিহার থানার এসআই টিএম সেলিম ও রাজপাড়া থানার এসআই মোতালেব। এ দুইজনই দীর্ঘদিন ধরে আরএমপিতে রয়েছেন। তারা একই থানায়ও রয়েছেন বেশ কয়েক বছর। বায়া পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই হানিফ। টিএসআই হানিফও দীর্ঘ সময় ধরে আরএমপিতে রয়েছেন। অপরাধীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে নামে বেনামে অনেক সম্পদের মালিক বনে গেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি যুগ পার
করেছেন আরএমপিতে। অন্য এসআইদের মধ্যে অনেকের ৫ থেকে ৭ বছর পার হয়েছে আরএমপিতে।
টিএসআই মনিরুল ইসলাম (নিঃ)/৬৪, বিপি নং-৬৬৮৬০৬৫০৯২, শিক্ষাগত যোগ্যতা: ৮ম শ্রেণী, কন্সটেবল ভর্তিও তারিখ-৩১-৩-১৯৮৬, আরএমপিতে যোগদান-১০-৯-১৮, টিএসআই পদে পদোন্নতি পায়-২১-৫-১৭। বোসপাড়া ফাঁড়িতে যোগদান করেন-১৯-৯-২০১৮, নিজ বাড়ি রাজশাহী কোর্ট স্টেশন। পূর্বে দীর্ঘদিন ধরে হাবিলদার হিসেবে মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গাসহ গুরুত্বপূর্ণ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঝখানে তিনি পদোন্নতি নিয়ে চলে যান। বর্তমানে তিনি আবারো আরএমপিতে যোগদান করেন। বর্তমানে মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই ফাঁড়ির এএসআই ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। মাদক
ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে অর্থেও বিনিময়ে মাদক কেনাবেচায় সহায়তা করছেন বলে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। এএসআই ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়াটার্স (এআইজি) জালাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত আরএমপির কমিশনারকে মাদক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। উপরে উল্লেখিত পুলিশ সদস্য ছাড়াও আরো একাধিক পুলিশ সদস্য রয়েছে। মাদক তবে অভিযোগ অস্বীকার করেও সংশ্লিষ্ট এসআই ও এএসআইরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে থাকলেও কোন অপরাধের সাথে জড়িত নই। আমাদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সঠিক নয়। হয়তো কেউ ভুল তথ্য দিয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হুমায়ন কবীর বিপিএম বলেন, ৯ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা সভায় এই সংক্রান্ত বিষয়ে জোনাল ডিসিদের কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোন রকম গাফিলতি বরদাশত করা হবে না।
না।
আর/এস