খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের জন্য সাড়ে ১১ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পাঠানো হচ্ছে সেখানে। মোট তিন দিনে ঢাকা থেকে এ সব ইভিএম পাঠানো হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের অপারেশন্স প্ল্যানিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স অফিসার ইনচার্জ স্কোয়ড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘চসিক নির্বাচনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ঢাকা থেকে পাঠানো হচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত দুই দিনে ৮ হাজারের মতো ইভিএম পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট ইভিএম তৃতীয় দিন (বৃহস্পতিবার) যাচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ১ হাজার ৮৪৩ ইভিএম ব্যবহার হবে।’ ঢাকার উপনির্বাচনের জন্য ইভিএম প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করতে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন। ১৪ মার্চ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। পরে ঢাকায় এসে ১৬ মার্চ ঢাকা-১০ আসনে উপনির্বাচনসহ অন্য নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করবেন সিইসি। নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
চসিক নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তৈরি করা পরিপত্র থেকে জানা যায়, ঢাকার আদলে চট্টগ্রাম সিটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করার সুপারিশ করছে ইসি। এ ভোটে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স থাকবে।
সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রামের এ নির্বাচনে ২১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, বিধি অনুযায়ী ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করা হবে।
চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন এবং ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ১৬১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে ৭৩৫টি কেন্দ্রের ৪৮৮৬টি বুথ রয়েছে। ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ জন এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ জন।
আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই