1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
৫ মাস ধরে রামেক হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন নষ্ট, দালালের কাছে জিম্মি রোগীরা - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন

৫ মাস ধরে রামেক হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন নষ্ট, দালালের কাছে জিম্মি রোগীরা

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত প্রায় ৫ মাস ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগে অবস্থিত একমাত্র সিটি স্ক্যান মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে একমাত্র মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গরীব ও অসহায় রোগীরা বিপাকে পড়েছেন। রোগীদের বাধ্য হয়ে দালালের কাছে জিম্মি হয়ে তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সিটি স্ক্যান করাতে হচ্ছে। অথচ হাসপাতালে খুব কম খরচে এই সিটি স্ক্যান করা যায়। সেই

পরীক্ষাটি হাসপাতালের বাইরে করার কারণে রোগীদের অতিরিক্ত টাকা খোয়ানোর পাশপাশি দালাল নির্ভর হতে হচ্ছে। আর এ সুযোগে এক শ্রেণীর দালাল ও অসাধ্যু কর্মচারীরা হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ নিয়ে রোগীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক এই সিটি স্ক্যান মেশিনটি বসানো হয়। মাত্র দুই বছরের মধ্যে মেশিনটি একাধিকবার নষ্ট হয়। বিকল হয়ে থাকতোও মাঝে মধ্যে। এ ছাড়াও গত ২০১৯ সালের জুলাই মাসের দিকে মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিটি স্ক্যান করা হতো। গত ১২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল মেশিনটি অকেজো ঘোষণা করে নতুন মেশিন সংযোজনের প্রক্রিয়ার কথা বলে যায়। কিন্ত কবে নাগাদ কি হবে তা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন তথ্য দিতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ বলছে খুব কম সময়ের মধ্যে এই মেশিন হবে।
এদিকে, খুব কম সময়ের মধ্যে দামী একটি মেশিন নষ্ট হওয়ায় হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। রোগীরা অভিযোগ করে বলছেন, শুধু সরকারী টাকা আত্মসাৎ করার জন্য যোগসাজোশ করে নি¤œমানের মেশিন দেয়া হয়েছিল। তাছাড়া কিভাবে এত তাড়াতাড়ি একটি মেশিন নষ্ট হতে পারে। এটি তদন্তও করা দরকার তাহলে প্রকৃত সত্যও বের হয়ে আসতে পারে।
সিটি স্ক্যান করাতে আসা রাহিমা নামের এক নারী রোগী অভিযোগ করে বলেন, উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচাইতে বড় একটি হাসপাতাল এটি। এই হাসপাতালের একমাত্র সিটি স্ক্যান মেশিনটি দীর্ঘদিন কিভাবে অকেজো হয়ে থাকে? আমি গরীব মানুষ বাইরে এখন সিটি স্ক্যান করাতে গেলে অনেক টাকা লাগবে। হাসপাতালের মধ্যে করতে পারলে কম টাকার মধ্যে হওয়া সম্ভব ছিল। আর এখানে আসা মাত্রই দালালরা টানা হেচড়া শুরু করে।
দুলালি নামের আরেক রোগী অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীকে নিয়ে অনেক দূর থেকে চিকিৎসা করাতে এসেছি। চিকিৎসক সিটি স্ক্যান করাতে পরামর্শ দিয়েছেন। এখানে এসে শুনছি মেশিনটি নষ্ট। তাও আবার নাকি অনেক ধরেই। এটা কিভাবে সম্ভব? এতবড় হাসপাতাল আর মেশিন নষ্ট। এটি মেনে নেয়া যায়না। দ্রæত সময়ের মধ্যে মেশিনটি বসানোর প্রক্রিয়া করা প্রয়োজন।

বাচ্চু মিয়া নামের আরেক রোগী বলেন, সিটি স্ক্যান করাতে এসে দালালরা টানাটানি শুরু করেছে। প্রত্যেকেই নাকি কম টাকায় করে দিবে? এর আগে দালালের সাথে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা লেগেছিল। আনসার সদস্যদের সামনে দালালরা প্রকাশ্যে টানাটানি করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয় না। প্রায় শুনি সিটি স্ক্যান মেশিন নষ্ট।
জোবায়দা নামের এক নারী বলেন, প্রায় শুনে থাকি সিটি স্ক্যান মেশিন নাকি নষ্ট? এ সুযোগ সুযোগ সন্ধানীরা হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কম টাকার পরীক্ষা রোগীদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা রোগীদের স্বার্থে দ্রæত এ মেশিনটি বসানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আহবান জানান তিনি।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, দ্রæত সময়ের মধ্যে মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে। তবে কবে নাগাদ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটি বলা যাচ্ছে না।

আর/এস

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team