1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
জাপায় হঠাৎ রদবদল: নেপথ্যে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন

জাপায় হঠাৎ রদবদল: নেপথ্যে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯

জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে হঠাৎ রদবদল ও অস্থিরতার নেপথ্যে দুটি সামাজিক অনুষ্ঠানে জি এম কাদেরের যোগদান ও ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ কাজ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। আর এটাকে মোক্ষম সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেছে জ্যেষ্ঠ নেতাদের একাংশ। তাঁরা সরকারি মহলের সায় নিয়ে এরশাদকে দিয়েই কো-চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা পদ থেকে জি এম কাদেরকে সরিয়ে দেন।

দলীয় সূত্র জানায়, দলীয় প্রধান এইচ এম এরশাদ বেশ অসুস্থ থাকায় ওই জ্যেষ্ঠ নেতারা দলে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর এ ক্ষেত্রে আগের মতো এবারও এরশাদপত্নী রওশনকে সামনে রেখেছেন তাঁরা।

জাপাসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, যে দুটি অনুষ্ঠানে জি এম কাদেরের যোগদানকে কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতির উদ্ভব, তাতে বিএনপির মহাসচিব এবং এবার মন্ত্রিত্ব না পাওয়া আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের একাধিক নেতাও ছিলেন। যেটাকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক’ হিসেবে সরকারি মহলে উপস্থাপন করা হয়েছে।

জাপার দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ রাতে জি এম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হয়। তার আগের দুই দিন তিনি দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এর একটি ছিল গুলশানে বিএনপির এক নেতার বাসায়। সেখানে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সম্মানে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জি এম কাদের আমন্ত্রিত হিসেবে যোগ দেন। ওই অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকে ছিলেন। আওয়ামী লীগের একজন সাংসদও ছিলেন, যিনি গতবার মন্ত্রিসভায় থাকলেও এবার নেই।

পরদিন সোনারগাঁও হোটেলে একটি সেমিনারে পাশাপাশি বসেছিলেন মির্জা ফখরুল ও জি এম কাদের। এতে অংশ নেন বাংলাদেশ সফরকারী চীনের একজন মন্ত্রী এবং জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাসহ বামপন্থী অনেকেই। এর আয়োজক ছিলেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, এই দুই অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে জি এম কাদেরের বসা ও কথাবার্তাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে সরকারি একটি মহল, যা রওশনপন্থী জ্যেষ্ঠ নেতাদের জন্য সহায়ক হয়।

এ বিষয়ে জি এম কাদের প্রথম আলোকে বলেন, গুলশানের ওই ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি জাপার চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন। তাঁর সম্মতি নিয়েই সেখানে যান। আর সোনারগাঁও হোটেলের সেমিনারে বিএনপির মহাসচিবের পাশাপাশি বসিয়েছেন আয়োজকেরা। এ দুটি কারণেই তাঁকে পদ হারাতে হয়েছে, তা তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না। আবার হঠাৎ এমন কী ঘটল যে তাঁকে দুটি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হলো, সেটাও তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না।

জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ গত ১ জানুয়ারি ছোট ভাই জি এম কাদেরকে দলে তাঁর উত্তরসূরি ঘোষণা করেন। তাঁকে সংসদে বিরোধী দলের উপনেতার দায়িত্বও দেন। এরপর ২১ মার্চ রাতে ‘সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যর্থতা’ ও ‘দলে বিভেদ’ তৈরির কথা উল্লেখ করে আকস্মিকভাবেই কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেন এরশাদ। পরদিন এক ‘সাংগঠনিক নির্দেশে’ তাঁকে সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ থেকেও অপসারণ করেন। ওই দিনই উপনেতার পদে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেন রওশন এরশাদকে। এ নিয়ে দলটিতে আবার অস্থিরতা শুরু হয়।

হঠাৎ এই রদবদলের নেপথ্যে রওশন এরশাদসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের বড় একটি অংশের ভূমিকা ছিল বলে দলের ভেতরে–বাইরে আলোচনা আছে। কারণ, সাংগঠনিক দায়িত্ব ও সংসদে বিরোধী দলের উপনেতার পদ পাওয়ার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকে জি এম কাদেরকে এড়িয়ে চলছিলেন।

আবার তাঁকে দুটি পদ থেকে সরানোর এক সপ্তাহ পর গত মঙ্গলবার এক মঞ্চে রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরকে দেখা গেছে। অনেক দিন পর দলীয় অনুষ্ঠানে দেখা গেছে জ্যেষ্ঠ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদকেও। জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় যুব সংহতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রওশন ও কাদের—দুজনই দলের ঐক্যের কথা বলেছেন।

এর মধ্যে দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ পাওয়া রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো দ্বিধাবিভক্তি নেই। কোনো দ্বন্দ্ব নেই। জাতীয় পার্টির সবাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছেন।

জি এম কাদের গত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টি হচ্ছে দেশের ইতিবাচক রাজনীতির নিয়ামক শক্তি। আর জাতীয় পার্টির মূল শক্তি হচ্ছে জাতীয় যুব সংহতি। আমাদের এখন একতাবদ্ধ থাকতে হবে।’

এদিকে অব্যাহতি দেওয়ার কারণ হিসেবে দায়িত্ব পালনে যে ব্যর্থতার কথা বলা হয়েছে, তা মানতে রাজি নন জি এম কাদের। তিনি দলের কো–চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সংসদে উপনেতা—এ তিনটি পদে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে গত মঙ্গলবার প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘তিন বছর হলো আমাকে কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আমার ওপরে চেয়ারম্যান ও সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আছেন। সঙ্গে দুজন মহাসচিবও আছেন। আগে ছিলেন রুহুল আমিন হাওলাদার, তিন মাস ধরে আছেন মসিউর রহমান। ব্যর্থ হলে কী কারণে আমি এককভাবে দায়ী হব।’ তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান বিদেশে থাকলে বা তাঁর অবর্তমানে আমাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মেয়াদ ছিল মাত্র ১৪ দিন। এর মধ্যে চার দিন ছিলাম চেয়ারম্যানের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে। বাকি ১০ দিনে আমি কোন কাজে ব্যর্থ হলাম?’

জি এম কাদেরের দাবি, বর্তমান সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদের অবর্তমানে তিনি উপনেতা হিসেবে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সংসদে তাঁর সর্বোচ্চ উপস্থিতি ছিল এবং সংসদে প্রারম্ভিক ও সমাপনী বক্তব্য সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। জাপার সংসদীয় দলের বৈঠক করে সংসদে বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপারে দিকনির্দেশনাও নেওয়া হয়েছে। যদিও কেউ কেউ নানা অজুহাতে বৈঠকে যোগ দেননি।

এ বিষয়ে জাপার একজন জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, জি এম কাদেরকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে ‘ব্যর্থ’ এবং দলে ‘বিভেদ’ তৈরির অভিযোগ করেছেন স্বয়ং তাঁর ভাই ও দলের চেয়ারম্যান। এতে কার কী বলার আছে। তা ছাড়া, চেয়ারম্যান এ পর্যন্ত দলে যতজনকে পদস্থ বা অপদস্থ—যা-ই করেছেন, সবাই তা বিনাবাক্যে মেনে নিয়েছেন। সূত্র : প্রথম আলো

খবর ২৪ ঘণ্টা/আর

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST