দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের আমগ্রাম এলাকায় বিয়ের দাবীতে এক নারীর অবস্থানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আলোচিত মকবুল হত্যা মামলার ৫ আসামীকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৫।
র্যাব-৫ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার (১১ মে) ভোর ৪ টার দিকে কক্সবাজার সদর থানাধীন সুগন্ধা লাইট হাউজপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, আলামিন (৩৫), শহিদুল ইসলাম (২৫), শাহাবুর (৩০), রিপন (২৫) ও মেহেদী হাসান ওরফে বাটুল (২২) গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই উপজেলার খাসভাগ (তরিপতপুর) গ্রামের বাসিন্দা। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও চারটি সিম কার্ডও উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানিয়েছে, পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আাসামীদের দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হোদা বলেন, তথ্যা প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-৫ এর একটি দল কক্সবাজার ব্যাটেলিয়নের সহায়তায় মকবুল হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। থানা পুলিশের একটি টিম কক্সবাজারে গিয়েছে। থানায় নেওয়ার পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানো হবে এবং রিমান্ড চাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত মাসের (১৩ এপ্রিল) এক নারী পরকীয়ার জেরে প্রেমিক ইসমাইলের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান করে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয়ভাবে সালিশ ডাকা হয়। পরে গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। নিহত মকবুল হোসেন সালিশে মধ্যস্থতার চেষ্টা করলে, আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তার পর দিন ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমগ্রাম মোড়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসামিরা মকবুল হোসেনের উপর হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হন মকবুল হোসেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আসামীদের অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে কক্সবাজার থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়।
বিএ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।