দীর্ঘ চিকিৎসার পর হাসপাতাল ছাড়ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে পারেন তিনি।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়।
বাসায় ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
এর আগে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদলের সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, আগামীকাল বিকেলের দিকে ম্যাডামকে বাসায় নেওয়া হতে পারে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করলে ম্যাডামকে বাসায় আনা যেতে পারে। বাসায় আনার পরও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ম্যাডামের চিকিৎসা অব্যাহত রাখা হবে।
২০২৩ সালের ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। আবার সন্ধ্যায় অবস্থার উন্নতি হলে তাকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়।
একই হাসপাতালে ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার যকৃতের রক্তনালীতে সফল অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন চিকিৎসক দেশে আসেন। ওই তিন চিকিৎসক হলেন— যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হামিদ আহমাদ আবদুর রব, ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ও হেপাটোলজির অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন। অস্ত্রোপচারের ফলে লিভার সিরোসিসজনিত জটিলতা কিছুটা উপশম হবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা।
বিএনপির দাবি ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আথর্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরোনো হয়।
খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
বিএ…