1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
জুমার দিন ১৫ আমলের বিশেষ সওয়াব - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন

জুমার দিন ১৫ আমলের বিশেষ সওয়াব

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

জুমাবার একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘দিবসসমূহের মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।থ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)। এই দিনে মহানবী (স.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী বেশকিছু আমল রয়েছে, যেগুলোর রয়েছে বিশেষ ফজিলত। নিচে সেরকম ১৫টি আমল তুলে ধরা হলো।

১. ফজরের নামাজে সুরা সিজদা ও ইনসান তেলাওয়াত
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (স.) শুক্রবার ফজরের নামাজে সুরা আস-সিজদা এবং সুরা আল-ইনসান তিলাওয়াত করতেন। (সহিহ বুখারি: ১০৬৮)

২. বেশি পরিমাণে দরুদ পড়া
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমরা জুমার দিন আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ: ১০৪৭)

৩. জুমার নামাজ আদায়
ইসলামের যেসব ফরজ বিধান আছে, এর মধ্যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জুমার নামাজ। ‘যদি মানুষ জুমার সালাত পরিত্যাগ করা থেকে বিরত না থাকে তাহলে আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেবেন, যার ফলে তারা অলস ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে।থ (সুনানে দারামি: ১৫২৪)

৪. গোসল করা
জুমার দিনে বিশেষভাবে গোসল করার তাগিদ এসেছে হাদিসে। সালিম (রহ.) থেকে তাঁর পিতার সূত্র থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (স.)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি জুমার নামাজে আসে সে যেন গোসল করে আসে। (জামে তিরমিজি: ৪৯২)

জুমার জুমার দিন ভালোভাবে গোসল করার সওয়াব

৫. সুগন্ধি ব্যবহার করা
অন্য দিনের চেয়ে এদিন বেশি সুগন্ধি ব্যবহার করা উত্তম। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, জুমার দিন সুগন্ধি পাওয়া গেলে তা ব্যবহার করবে। (সহিহ বুখারি: ৮৮০)

৬. মেসওয়াক করা
রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির গোসল ও মেসওয়াক করা কর্তব্য এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সে সুগন্ধিও ব্যবহার করবে। (সহিহ মুসলিম: ১৮৪৫)

৭. জিকির করা
ইমাম জুমার নামাজে আসার পূর্ব পর্যন্ত নামাজ, জিকির ও তেলাওয়াতে রত থাকা। জুমার দিনে যত সম্ভব জিকির করা বাঞ্ছনীয়। কোরআনে জিকির তথা আল্লাহর স্মরণের কথা এসেছে এভাবে- ‘হে বিশ্বাসীগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের জন্য দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা উপলব্ধি কর।থ (সুরা জুমা: ৯)

৮.খুতবার সময় চুপ থাকা
খুতবার সময় সম্পূর্ণ নিশ্চুপ থাকা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় তার সঙ্গীকে বলল, ‘চুপ থাকোথ সে একটি অনর্থক কাজ করল। (সুনানে নাসায়ি: ১৪০১)

খুতবার সময় দরুদ পড়া যাবে?

৯. সুরা কাহাফ পড়া
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তীকাল জ্যোতির্ময় হবে।থ (আত-তারগিব: ৭৩৫)

১০. সুরা আলা, সুরা জুমা ও গাশিয়াহ পড়া
নুমান ইবনে বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) দুই ঈদের নামাজে ও জুমার নামাজে ‘সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আলা-থ ও ‘হাল আতা-কা হাদিসুল গা-শিয়াহথ সুরাদ্বয় পাঠ করতেন। (সহিহ মুসলিম: ১৯১৩)

কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (স.) সুরা জুমা ও সুরা আলা তেলাওয়াত করতেন।

১১. পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর কাপড় পরিধান করা
আবু জার (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করে, উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তার উৎকৃষ্ট পোশাক পরিধান করে এবং আল্লাহ তার পরিবারের জন্য যে সুগন্ধির ব্যবস্থা করেছেন, তা শরীরে লাগায়, এরপর জুমার সালাতে এসে অনর্থক আচরণ না করে এবং দুজনের মাঝে ফাঁক করে অগ্রসর না হয়, তার এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ ক্ষমা করা হয়। (সুনানে ইবনে মাজা: ১০৯৭)

উত্তম পোশাকে জুমার নামাজ পড়ার ফজিলত

১২. মসজিদে সুগন্ধি লাগানো
ওমর (রা.) জুমার দিন দ্বিপ্রহরে মসজিদে সুগন্ধি লাগানোর জন্য আদেশ করেছেন। এছাড়াও যেকোনো সময় মসজিদে সুগন্ধি লাগানো উচিত। রাসুলুল্লাহ (স.) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মাণ করতে, তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং সুবাসিত করতে হুকুম দিয়েছেন। (ইবনু মাজাহ: ৭৫৯)

১৩. ইস্তেগফার করা ও কথা না বলা
জুমার দিন মহান রবের পক্ষে গুনাহ মাফের বারি বর্ষিত হয়। নবী (স.) বলেছেন, কোনো মুসলিম যদি পবিত্র হয়ে জামে মসজিদের দিকে হাঁটতে থাকে, এরপর ইমাম নামাজ শেষ করা পর্যন্ত নীরব থাকে, তাহলে এ নামাজ এই জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত তার গুনাহের কাফফারা (মোচনকারী) হয়ে যাবে, যদি ধ্বংসকারী তথা কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে। (মুসনাদে আহমদ: ২৩৭২৯)

১৪. আছরের সময়টি দোয়ায় অতিবাহিত করা
জুমার দিন বিশেষ সময়ে দোয়া কবুল হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন, জুমার দিনের মধ্যে অবশ্যই এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করে নিশ্চয়ই তিনি তাকে তা দান করেন। তিনি বলেন, সে মুহূর্তটি অতি স্বল্প। (সহিহ মুসলিম: ১৮৫৮)

জুমার দিন দোয়া কবুলের সময়টি যেভাবে কাটাবেন

অধিকাংশের মতে, সে সময়টি আছরের পর থেকে নিয়ে মাগরিবের আগ মুহূর্ত। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো।থ (আবু দাউদ: ১০৪৮)

১৫. কবর আজাব থেকে মুক্তির দোয়া করা
জুমার দিন কবরের আজাব মাফ হয়ে যায়। আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) জুমার দিন ছাড়া (অন্য দিন) ঠিক দুপুরে নামাজ আদায় করা অপছন্দ করতেন। তিনি বলেছেন, জুমার দিন ছাড়া (অন্যান্য দিনে) জাহান্নামের আগুনকে উত্তপ্ত করা হয়। (আবু দাউদ: ১০৮৩) জুমার দিনে বা রাতে যে মারা যাবে, তার থেকে কবরের আজাব উঠিয়ে নেওয়া হবে এটা এই হাদিস থেকে প্রমাণিত। তবে কেয়ামত পর্যন্ত আজাব দেওয়া হবে না এটা নিশ্চিত নয়।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে জুমার দিন উল্লেখিত আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন। আমিন।.।

বিএ…

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST