চৌদ্দ দিনে গড়ালো ইসরায়েল-হামাস সংঘাত। চলমান এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১৩৭ ফিলিস্তিনি এবং ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
এতে বলা হয়, আশরাফ আল-কুদরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৬৬১ শিশু রয়েছে। এ পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ১৩ হাজার ২৬০ জন।
গাজায় ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘নির্মম হত্যাযজ্ঞথ বলে উল্লেখ করে আশরাফ আল-কুদরা জানান, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৭টি হাসপাতাল ও ২১টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র অচল হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলের গোলাবর্ষণে এ পর্যন্ত ৪৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজার আল-ওমারি মসজিদ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এটি ছিল ফিলিস্তিনের তৃতীয় বৃহত্তম এবং সপ্তম শতকের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
এদিকে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর পশ্চিম তীর থেকে ৫৪৮ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দাবি, এদের মধ্যে ৩৭৫ জন হামাসের সদস্য। গত রাতে গাজার প্রায় ১০০ স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরই মধ্যে ইসরায়েলের বেশ কিছু নাগরিককে বন্দি করে তারা। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ারথ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
এরই মধ্যে গাজায় জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার, পানি ও মানবিক সহায়তা বন্ধের পাশাপাশি অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর ফলে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে উপত্যকাটিতে।
বিএ/