রাজশাহী মহানগর এলাকায় চালক ও আরোহী হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল উঠলেই মামলা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন-নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ট্রাফিক আইন প্রতিপালন বিষয়ে চালক ও অভিভাববদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগ সচেতনতামূলক এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
এতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, হেলমেট ছাড়া পেট্রল বা অকটেন বিক্রি না করতে এরই মধ্যে পাম্পগুলোতে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের নিরাপত্তার প্রয়োজনেই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর চালক ও আরোহী-দুজনকেই হেলমেট পরতে হবে। কেউ কখনও হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে উঠলেই আইনি ব্যবস্থা নেবে ট্রাফিক পুলিশ’।
রাজশাহী পুলিশ কমিশনার বলেন, ঢাকার প্রতিটি মোটরসাইকেল চালক ও পেছনের যাত্রীরা হেলমেট নিয়ে চলাচলে অভ্যস্ত। ঢাকার এত লোক যদি এটাতে অভ্যস্ত হতে পারে তাহলে রাজশাহীর ৫-৬ লাখ মানুষ কেন পারবে না? হেলমেট নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য। নো হেলমেট নো ফুয়েল কার্যক্রম প্রথমে ঢাকায় শুরু হয়ে সফল হয়েছে। রাজশাহীতেও সফল হবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, নো হেলমেট/নো ফুয়েল- অভিযান শুরু হয়েছে। এটি নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সড়কে শৃঙ্খলার জন্য। আপনারা সচেতন ও সহযোগিতা করলে এ শহর হবে নিরাপদ। আগামী দিনে এ সচেতনা কার্যক্রম স্কুলে চালু করা হবে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই পুলিশ কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের রাস্তায় চলাচল ও ট্রাফিক আইন বিষয়ে সচেতন করার কাজ করবেন।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, রাজশাহী মহানগরীর রাস্তা অনেক প্রশস্ত হওয়ায় নিয়ম মেনে যানবাহন চালানো খুবই সহজ।
তিনি শহরে চলাচলের সময় সর্বদা ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলা, বাম লেন ফ্রি রাখা এবং মোড়ের ২০ গজ দূরে গাড়ি দাঁড় করানো এসব নিয়ম কানুন মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেন।
তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, এখন থেকে এসব বিষয়ে আপনাদের পরিবারের সদস্য ও পরিচিত জনদের সচেতন করবেন। সবার সহযোগিতায় এ সবুজ সুন্দর মহানগরীতে একটি উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উপহার দেওয়ার সম্ভব হবে। আর আগামীতে বিভিন্ন স্কুলেও এসব বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক আইন, রাস্তা পারাপার, ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতন করা হবে বলে উল্লেখ করেন রাজশাহীর নবাগত পুলিশ কমিশনার।
সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বিজয় বসাক, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শারমিন আকতার চুমকি ও মো. সাইদুর রহমান ছাড়াও পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন), আরএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পরিবহন নেতা এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
জ/ন