ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ১২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকয়টি কেন্দ্রের ফলাফলে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২৮ হাজার ৮১৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। ২৩ হাজার ২০৭ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন নৌকা প্রার্থী।
সোমবার (১৭ জুলাই) এই ফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি খুব কম। ভোট শুরুর পর থেকে বিকেল পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে একতারা প্রতীকের প্রার্থী হিরো আলমকে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ভোট বর্জন করেন তিনি। অন্যদিকে, ভোটগ্রহণ চলাকালীন অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তারিকুল ইসলাম।
এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। উপনির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৩৭ হাজার ৫২০টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৩৮৩ ভোট। অর্থাৎ মোট ভোট পড়েছে ১১.৫১ শতাংশ।
এর আগে, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল চারটায়। ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টি-জাপার সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম) ও মো. তারিকুল ইসলাম।
ইসির তথ্যানুযায়ী, উপনির্বাচনের সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র পাহারায় ২১ জনের পুলিশ-আনসারের সমন্বয়ে ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ১৫টি, র্যাবের ৬টি টিম ও ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ২৫ জন নির্বাহী ও ৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
উল্লেখ্য, হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।
বিএ/