দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশর সালেহ আহমেদ তাকরিম।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুবাই এক্সপো সিটির আল-ওয়াসাল প্লাজায় অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাঁকে পুরস্কার ও সম্মাননা তুলে দেন শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ বিন মুহাম্মদ রশিদ আলে-মাকতুম।
গত ২৪ মার্চ থেকে শুরু হয় দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার ২৬তম পর্ব। এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করে ইথিওপিয়ার আব্বাস হাদি উমর ও তৃতীয় স্থান লাভ করে সৌদি আরবের খালিদ সুলাইমান সালিহ আল-বারকানি।
যৌথভাবে চতুর্থ স্থান লাভ ক্যামেরুনের নুরুদ্দিন ও ইন্দোনেশিয়ার ফাতওয়া হাদিস মাওলানা এবং ষষ্ঠ স্থান লাভ করে কেনিয়ার আবদুল আলিম আবদুর রহিম মুহাম্মদ হাজি। যৌথভাবে সপ্তম স্থান লাভ করে সিরিয়ার মুহাম্মদ হাজ আসআদ ও ইয়েমেনের মুহাম্মদ আবদুহু আহমদ কাসিম।
যৌথভাবে নবম স্থান লাভ করে ব্রুনাইয়ের আবদুল আজিজ বিন নুর নাসরান ও মরক্কোর হামজা মুসতাকিম।
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার শেষ দিন স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক সংস্থার উপ-প্রধান ড. সায়িদ আবদুল্লাহ হারিব। এ সময় বর্ষসেরা ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয় আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শায়খ ড. আহমদ ওমর হাশিমকে।
তা ছাড়া প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে দায়িত্ব পালন করা বিশ্বের খ্যাতিমান কোরআন বিশেষজ্ঞদেরও বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। তারা হলেন- বাংলাদেশের শায়খ শুয়াইব মুজিবুল হক, সৌদি আরবের ড. আহমদ বিন হামুদ, আমিরাতের ড. সালিম আল-দাওবি, মরক্কোর শায়খ আবদুল্লাহ আইশ, মিসরের জামাল ফারুক, পাকিস্তানের ড. আহমদ মিয়া থানভি।
এর আগে গত বছর মার্চে ইরানে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম এবং সেপ্টেম্বরে মক্কায় অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে তাকরিম। সালেহ আহমদ তাকরিম ঢাকার মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদরাসার কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদরাসার শিক্ষক।
বিএ/