খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: গত কয়েকদিনে ভারতকে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান। এর মধ্যেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্তত নয়টি গোপন জায়গায় পরমাণু অস্ত্র মজুদ করছে পাকিস্তান। আর ক্রমশ বাড়াচ্ছে অস্ত্রের পরিমাণ। সম্প্রতি একদল মার্কিন গবেষক এই তথ্য সামনে এনেছেন। অন্তত ১৩০ থেকে ১৪০টি ওয়ারহেড রয়েছে বলে আনুমান তাদের।
এই নয়টি জায়গার মধ্যে চারটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কাছে, তিনটি সিন্ধ প্রদেশের কাছে ও একটি বালোচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ারের আশেপাশে। ‘ফেডারশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্ট’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইসলামাবাদ শুধু পরিমাণে বেশি অস্ত্রই মজুত করছে না, অস্ত্রের গুণগত মানও বাড়াচ্ছে। যদিও জায়গাগুলো একেবারে নিখুঁতভাবে খুঁজে বের করা সম্ভব হচ্ছে না গবেষকদের পক্ষে।
নয়টি জায়গা কোথায়:
আকরো গ্যারিসন: (সিন্ধ প্রদেশ)- সম্ভবত এখানে মাটির তলায় আছে পরমাণু অস্ত্র
গুজরানওয়ালা গ্যারিস: (পাঞ্জাব)- এক প্রত্যন্ত জায়গায় মজুদ আছে অস্ত্র
খুজদার গ্যারিসন: (বালোচিস্তান)- সম্ভবত এখানে মাটির তলায় আছে পরমাণু অস্ত্র
মাসরুর ডিপো: (করাচি)- মিরজ বিমান থেকে নিক্ষেপ করার মত বোমা মজুদ আছে বলে অনুমান
ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স: (পাঞ্জাব)- লঞ্চার ও ওয়ারহেড থাকার সম্ভাবনা
পানো আকিল গ্যারিসন: (সিন্ধ)- এক প্রত্যন্ত জায়গায় মজুদ আছে অস্ত্র
সরগোড়া ডিপো: (পাঞ্জাব)- F-16 বিমান থেকে নিক্ষেপ করার অস্ত্র আছে এখানে
তারবালা ডিপো: (খাইবার পাখতুনখাওয়া)- মজুদ আছে ওয়ারহেড
ওয়ার অর্ডিন্যান্স ফেসিলিটি: (পাঞ্জাব) সম্ভবত এখানে তৈরি হয় ওয়ারহেড
স্যাটেলাইট চিত্রে, বিভিন্ন গবেষণার তথ্য ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের উপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করেছে আমেরিকার বিজ্ঞানীরা।
কয়েকদিন আগেই পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বলেন, ‘যদি কাশ্মীর দ্বন্দ্ব যুদ্ধে দিকে যায়, তাহলে মনে রাখতে হবে দুই দেশের কাছেই পরমাণু অস্ত্র আছে। আর পরমাণু যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না।’ নিজেকে ‘কাশ্মীরি দূত’ বলে উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, কাশ্মীর স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমার চেষ্টা চলবে। কাশ্মীরি জনগণকেও আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে আমি সারা বিশ্বে কাজ করব। যতক্ষণ পর্যন্ত কাশ্মীর স্বাধীন না হবে, প্রতিটি ফোরামে আমি এই বিষয়ে সর্বোচ্চ আওয়াজ তুলব। সূত্র: কলকাতা24
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন