নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ড থেকে চুরি হওয়া ৩ দিন বয়সি কন্যা শিশু সন্তানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে নগর গোয়েন্দা শাখা ও রাজপাড়া থানা পুলিশ নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন রাণীনগর পানির ট্যাংক এলাকা থেকে চুরি হওয়া ওই শিশুকে উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত নারী ও তার স্বামীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন রাণীনগর পানির ট্যাংক থেকে সজিবের স্ত্রী মৌসুমি বেগম (২৩) ও তার স্বামী সজিব (২৫)। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে ওই নারীর সন্ধান শুরু করে আরএমপির ডিবিসহ বিভিন্ন ইউনিট। শনিবার সকালে পুলিশের কাছে খবর আসে রাণীনগর এলাকার এক বাড়িতে নতুন একটি শিশু নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্ত তাদের কোন বাচ্চা ছিলনা। বিষয়টি জানার পরে ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাণীনগর পানির ট্যাংক বস্তি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করে ও তারা স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে। ওই নারীর স্বামী কর্পোরেশনে দিনমজুরের কাজ করে বলে জানিয়েছে। আসলেই ওই নারী
শিশুটিকে মানুষ করার জন্য কী কারো বিক্রির জন্য চুরি করেছিল তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। এদিকে, হারিয়ে যাওয়া শিশুকে কাছে পেয়ে আনন্দে উল্লসিত হয়ে পড়েন তার বাবা-মাসহ অন্যান্য স্বজনারা। মেয়েকে বুকে জড়িয়ে আদর করতেও দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ২২ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রামেক হাসপাতালের ২৩ নং ওয়ার্ড থেকে মৌসুমী নবজাতকটিকে চুরি করে নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে নেয়ার পর তার স্বামীকে জানিয়েছে এটি তার বাচ্চা। বিয়ের ৮ বছরেও তাদের বাচ্চা না হওয়ায় এ কাজ করে থাকতে পারে। ২০ জানুয়ারী রাত ৯টার দিকে রামেক হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। সদ্য
নবজাতককে হারিয়ে শোকে হতবিম্বল হয়ে পড়েছিলেন তার বাবা ও মা। নবজাতকের বাবার বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার আইডি বাগানপাড়া এলাকায়। ওই শিশুর বাবা পেশায় একজন মুচি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার আবু আহাম্মদ আল মামুন, নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস, রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। এ ছাড়াও শিশুটি বাবা, নানি ও অন্যান্য স্বজনার উপস্থিত ছিলেন।
এস/আর