খবর২৪ঘন্টা স্পোর্টস ডেস্ক: স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়ার শপথ নিয়েই হয়তো পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের স্তাদিও দ্য লুইজে খেলতে নেমেছিল জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। নতুবা ৮০ মিনিট পর্যন্ত ৫ গোল করে এগিয়ে থাকলে, শেষ দশ মিনিটে আরও ৩ গোল নিশ্চয়ই করে বসতো না ক্লাবটি।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে নকআউট স্টেজে প্রতিপক্ষের জালে ৮ গোলের রেকর্ড গড়েছে বায়ার্ন। বার্সার হয়ে একটি গোল শোধ করেছেন লুইস সুয়ারেজ আর একটি গোল পাওয়া গেছে আত্মঘাতী খাতা থেকে। সবমিলিয়ে বায়ার্নের জয়ের ব্যবধান ৮-২।
পরিসংখ্যানের পাতা ঘেঁটে পাওয়া গেল, ক্লাবের ইতিহাসে ৭৪ বছর পর এমন দিন দেখল বার্সেলোনা। সবশেষ ১৯৪৬ সালে নিজেদের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কোপা দেল রে’র ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে ৮-০ গোলে হেরেছিল বার্সা। সেই দিনের ৭৪ বছর পর ফের ৮ গোল হজম করল তারা।
বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচটিতে বার্সেলোনার পরাজয়ের ব্যবধান ৬ গোলের। ১৯৫১ সালের এপ্রিলের পর এ ম্যাচেই প্রথম এত বড় ব্যবধানে হারল তারা। সেবার এসপানিওলের কাছে লা লিগার ম্যাচে ৬-০ গোলে হেরেছিল ক্লাবটি। আর এবার পরাজয়টি ৮-২ গোলে।
ক্লাব ফুটবলের ইউরোপিয়ান আসরে এবারই প্রথম ছয় গোলের বেশি হজম করলো বার্সেলোনা। ১৯৭৬ সালের মার্চে উয়েফা কাপে লেভস্কি সোফিয়ার কাছে ৫-৪ গোলে হেরেছিল তারা। আর এবার কি না হজম করল গুনে গুনে ৮টি গোল। এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে চার গোল হজম করেছে বার্সেলোনা।
এদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট ম্যাচের ইতিহাসে দ্রুততম চার গোলের রেকর্ড গড়েছে বায়ার্ন। ২০১৪-১৫ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচেই পোর্তোর জালে ৩৬ মিনিটে চার গোল দিয়েছিল বায়ার্ন। নিজেদের রেকর্ড ভেঙে শুক্রবারের ম্যাচে মাত্র ৩১ মিনিটেই হালি পূরণ করেছে তারা।
এত রেকর্ডের ম্যাচে বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেছেন থমাস মুলার ও ফিলিপ কৌতিনহো। এছাড়া একটি করে গোলে নাম লিখিয়েছেন ইভান পেরিসিচ, সার্জি জিনাব্রি, জশুয়া কিমিচ ও রবার্ট লেভান্ডোস্কি। এছাড়া নিজেদের জালে একটি গোল করেছেন বায়ার্নের ডিফেন্ডার ডেভিড আলবা।
খবর২৪ঘন্টা/নই