1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
৪০ শতাংশ সিল মারার নির্দেশ ছিল, মেরেছে ৮০ শতাংশ: ঐক্যফ্রন্ট - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন

৪০ শতাংশ সিল মারার নির্দেশ ছিল, মেরেছে ৮০ শতাংশ: ঐক্যফ্রন্ট

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৯

খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ব্যালটে নৌকায় সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক মোস্তফা মোহসীন মন্টু।

শনিবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে গণফোরামের বর্ধিত সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।

নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্টু বলেন, নির্বাচনের আগের রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মহাজোটের কর্মীবাহিনী একজোট হয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রের আশেপাশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দেয়। রাতভর তাদের তাড়া করে বেড়ায়। আর এ সুযোগে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা রিটার্নিং অফিসারের পূর্বনির্দেশ অনুযায়ী নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে রাখে। প্রতিটা কেন্দ্রে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যালটে সিল মারার নির্দেশ থাকলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে পূর্বের রাতেই নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অকার্যকর করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, শহরের ভোট জালিয়াতির কৌশল কিছুটা ভিন্ন ছিল কোনো কোনো কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। কোনো কোনো কেন্দ্রে এজেন্টদের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে স্বাক্ষর রেখে সকাল ৮টায় কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। সকাল ১১টার পর ঢাকা মহানগরের কোনো কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট থাকতে দেয়া হয়নি। বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের চোখে ধুলো দেয়ার জন্য শহরাঞ্চলে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের কৃত্রিম লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে ভেতরে সিল মারার কাজ অব্যাহত থাকে।

মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, শহরের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ধানের শীষের প্রতীকের এজেন্ট যে ছিল না সে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আগেই সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। এই নির্বাচনে ৮০ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হওয়াকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইতিবাচকভাবে ব্যাখ্যা করলেও যেসব কেন্দ্রে ১০০ ভাগের ওপরে ভোট কাস্ট হয়েছে এবং যেসব আসনে নৌকার প্রার্থী আড়াই লক্ষাধিক ভোটের বিপরীতে ধানের শীষ ১৩৭টি ভোট পেয়েছে সে বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

মন্টু আরও অভিযোগ করেন, ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর মহাজোটের প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রাখতে পারলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের পোস্টার লাগাতে, ভোটের স্লিপ বিতরণ ও মাইকিং করতে দেয়া হয়নি। পুলিশের সাহায্যে নৌকার কর্মীরা ধানের শীষের অনেক প্রার্থীকে নিজ নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ বাহিনীর সাথে সরকারদলীয় কর্মীরা পুলিশের পোশাক পরে ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে গ্রামে গ্রামে ত্রাস সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বলেই ১৯৭১ সালে আমরা প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক হয়েছি, ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়েছি। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অচিরেই বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন কার্যকর গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত হবে।

খবর ২৪ঘণ্টানই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST