ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ৩ ভুয়া পুলিশকে গ্রেপ্তার ও ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ মার্চ) ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, গত ২ মার্চ সকাল ১০টার দিকে ভাঙ্গা বাসস্টান্ড থেকে পুখুরিয়াগামী একটি ইজিবাইকের গতি রোধ করে ইসরাত জাহান নীলা (৩২) নামের এক নারী এনজিওকর্মীকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায় দুই ছিনতাইকারী। পরে কিছুদূর গিয়ে ছিনতাইকারীরা ওই নারীর কাছে থাকা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালিয়ে যায়। এঘটনার পর ভুক্তভোগী এনজিওকর্মী বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামানের নির্দেশে ভাঙ্গা থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২ মার্চ দুপুরে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি মো. শাকিল আহমেদ রুবেলকে আটক করে। আটককৃত আসামির কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি পুলিশের পোশাক, একটি ওয়াকিটকি, একজোড়া হ্যান্ডকাফ, তিনটি মোবাইল সেট, পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি গ্লামার মোটরসাইকেল ও একটি ভ্যানিটিব্যাগসহ নগদ ৩৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আসামি শাকিলের দেয়া তথ্য মতে, মাদারীপুরের মোস্তফাপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে সঞ্জয় হালদার নামের আরেক আসামিকে আটক করে পুলিশ। এসময় তার দেয়া তথ্য মতে, ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইন, কানের দুলসহ অন্যান্য স্বর্ণালঙ্কারসহ গলিত অবস্থায় ৫ ভরি ৩ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। মাদারীপুরের মোস্তফাপুরের লিয়াকত মীরের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে পুলিশের স্টিকার লাগানো ১৬০ সিসির আরেকটি মোটরসাইকেল ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, আসামি শাকিলের দেয়া তথ্য মতে, ১৩ তারিখে অভিযান চালিয়ে আরেক আসামি রেজাউল শেখকে আটক করে পুলিশ।
আসামি শাকিল আহমেদ রুবেলের নামে বিভিন্ন থানায় আরও তিনটি ছিনতাই মামলা রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
জেএন