1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
৩৪ পয়েন্টে ওয়াসার পানি পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন

৩৪ পয়েন্টে ওয়াসার পানি পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯

খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: পানির চারটি স্তরসহ রাজধানীর ৩৪টি পয়েন্ট থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

পানি পরীক্ষার জন্য আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটিকে ২ জুলায়ের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমানের মতামত শুনে আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেওয়া হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম ও বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামান। স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব এ কমিটির আহ্বায়ক।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে আদালত বলেছেন, পানি পরীক্ষার ব্যয় বহন করবে ওয়াসা, যা সমন্বয় করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার জন্য পানির নমুনা সংগ্রহে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

হাইকোর্ট বলেছে, আইসিডিডিআরবি, বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসোলেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে ওয়াসার পানির ওই নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।

প্রতিটি নমুনা পরীক্ষায় ৫ হাজার টাকা খরচ ধরে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ওয়াসাকে দিতে বলা হয়েছে। আর স্থানীয় সরকার সচিবকে বলা হয়েছে ওয়াসার কাছ থেকে এ টাকা আদয় করে দিতে।

আদেশে আদালত চারটি উৎস (বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, ভূ-গর্ভস্থ ও ভূমিস্থ), ১০টি বিতরণ জোন (যা মডস জোন নামে পরিচিত) এবং গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ ও দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে বলেছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জানায়, ঢাকা ওয়াসার ১০টি জোনের ৫৯ এলাকার পানিতে ময়লা পানির প্রবণতা বেশি। সরকারি এই সংস্থা গত তিন মাসে ময়লা পানির অভিযোগের তালিকা বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পেয়েছে। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা বাসাবাড়ির ট্যাপের পানি পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলসংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পাস) জহিরুল ইসলাম বরাবর ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান ১৩ মে প্রতিবেদনটি পাঠান।

গত বছরের গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ১৪ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৬ নভেম্বর রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন আদালত। রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা ওয়াসার পানির মান পরীক্ষায় চার সদস্যের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত এ বিষয়ে মতামত দিতে কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমানকে আজ আদালত উপস্থিত হতে বলেন।

আজ আদালতে লিখিত মতামত তুলে ধরেন অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান। তিনি বলেন, ‘সরবরাহ করা পানির প্রকৃত চিত্র পাওয়া সময়সাপেক্ষ, জটিল ও ব্যয়বহুল। সাধারণত স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ—এমন পরিষ্কার পানি পরীক্ষায়

অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি, যা পান করে কোনো এলাকায় রোগ ছড়ানোর তথ্য মেলে। মনে রাখতে হবে, অভিযোগ আছে এমন এলাকার পানি আমাদের সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা করতে হবে। নিরাপদ স্বাস্থ্যকর পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতেই হবে। এ জন্য মানসম্মত সরবরাহ লাইন ও পানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ চাই। মনে রাখতে হবে,

সরবরাহ লাইনের চাহিদা ও পর্যাপ্ততা নিরিখে বিভিন্ন উৎস থেকে পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। যেমন: ভূমির পানি, ভূগর্ভস্থ পানি, শীতলক্ষ্যা বা বুড়িগঙ্গার পানি বছরের সকল সময়ে একই উৎসের পানি সমানভাবে জোগান দেওয়া হয় না। যা লাইনের পানিতে ব্যাকটেরিয়া লোডের তারতম্য ঘটাতে পারে।’

ওয়াসার প্রতিবেদন অনুসারে, অভিযোগের তালিকা বিশ্লেষণ করে যেসব এলাকায় ময়লা পানি পাওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যায়, সেসব এলাকা হচ্ছে যাত্রাবাড়ী, বাসাবো, মুগদা, রাজারবাগ, কুসুমবাগ, জুরাইন, মানিকনগর, মান্ডা, দোলাইরপাড় ও মাতুয়াইল, ভাগলপুর, লালবাগ, বকশীবাজার, শহীদনগর, জিগাতলা, ধানমন্ডি, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ভূতের গলি,

মোহাম্মদপুর, শেওড়াপাড়া, পীরেরবাগ, মণিপুর, পাইকপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর, মহাখালী, তেজগাঁও, সিদ্ধেশ্বরী, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, মগবাজার, নয়াটোলা, রামপুরা, মালিবাগ, পরিবাগ, কদমতলী, দনিয়া, শ্যামপুর, রসুলবাগ, মেরাজনগর, পাটেরবাগ, শনিরআখড়া, কোনাপাড়া, মুসলিমনগর, বাড্ডা, আফতাবনগর, বসুন্ধরা, ভাটারা, উত্তরা, খিলক্ষেত, ফায়েদাবাদ, মোল্লারটেক, রানাভোলা, কাফরুল, কচুক্ষেত, পল্লবী।

অভিযোগ পাওয়ার পর পাইপলাইনের ছিদ্র মেরামত করে ময়লা পানির অভিযোগ নিরসন করা হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST