খবর২৪ঘন্টা নিউজে ডেস্ক: রাজধানীর দক্ষিণখানের প্রেমবাগান কেসি মডেল স্কুলের পাশে একটি বাসা থেকে শুক্রবার যে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল- তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তার মধ্যে দুই শিশু ফারহান ও লাইবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং তাদের মা মুন্নির মাথায় হাতুড়ির আঘাত রয়েছে।
শনিবার বিকাল ৪টার দিকে তাদের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক একে এম মাইনুদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
চিকিৎসক জানান, তিনটি লাশের উপরিভাগ বেশি পচে গিয়েছিল। শিশু দুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং নারীটির মাথার পেছনে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। তিন লাশ থেকে ভিসেরা ও রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষার পর রিপোর্ট পেলেই পুরো ঘটনা জানা যাবে।
এর আগে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, দুই-তিন দিন ধরে ওই বাসার লোকজনের কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। বিকাল ৫টার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই নারীর বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। দুই সন্তানের মধ্যে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে। ছেলের বয়স আনুমানিক ১০ বছর এবং মেয়ের বয়স ৩ বছর।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুই-তিনদিন আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পর পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরাও সেখানে যান।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল শুক্রবার জানিয়েছিলেন, যে বাসায় লাশ পাওয়া গেছে ওই বাসায় বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল। নিহতরা একজন টিঅ্যান্ডটি কর্মকর্তার স্ত্রী ও সন্তান। ওই কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
খবর২৪ঘন্টা/নই