আগামী ২৫ জুন যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু। এদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার (২৪ মে) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদ্মা নদীর নামেই নামকরণ করা হবে পদ্মা সেতুর।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ জুন (শনিবার) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এরপর থেকেই যান চলাচল শুরু হবে সেতু দিয়ে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদ্মা সেতুর দুটো সামারি (সার সংক্ষেপ) দিয়েছিলাম। একটা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সামারি, যেখানে তিনি ২৫ জুন তারিখ লিখে সই করেছেন। আরেকটি ছিল পদ্মা সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা সেতু’ করার। সেটিতে তিনি সই করেননি। তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতুর নাম পদ্মা নদীর নামে হবে। এখানে কারও নাম থাকার দরকার নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বেশি বিরোধিতা করেছে তাদেরকেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবার আগে আমন্ত্রণ জানানো হবে।বিএনপি নেতাদেরও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
আর এই সেতুর কারণে ভাগ্যের দুয়ার খুলছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের। খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাকে এতদিন বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল পদ্মার বিপুল জলরাশি। উন্নয়নের সামনে যে পদ্মা এতকাল দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেখানে বাস্তবে রূপ নিয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
দুই যুগের বেশি সময় ধরে প্রমত্তা পদ্মার ওপর একটি সেতুর অপেক্ষায় ছিলেন অবহেলিত দক্ষিণা-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। তাই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা ঢাকা বিভাগের পাঁচ জেলাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য অন্যরকম আনন্দের। তারা বলছেন, সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার যে উন্নতি ঘটবে, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিপুল প্রসার ঘটাবে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের নতুনমাত্রা যোগ করবে সেতুটি। সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর দুইপাড়ে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। শরীয়তপুর প্রান্তের জাজিরায় গড়ে উঠছে রেস্টুরেন্ট, রিসোর্ট, হোটেল, মোটেলসহ বিলাসবহুল বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
বিএ/