বাগমারা প্রতিনিধি, রাজশাহীর বাগামারার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসকের অভাবে ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য সেবা। প্রতিদিন চিকিৎসা না পেয়ে শতশত রোগী নিরাশ হয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন। পরিচ্ছন্ন কর্মী না থাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বর্তমানে অস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। জানা যায় বাগমারায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট কমপ্লেক্সে ২৪ জন চিকিৎসকের স্থলে বর্তমানে রয়েছে মাত্র ৩ জন। ১০জন সেবিকার স্থলে রয়েছে ৬ জন। আয়া নেই, ওয়ার্ডবয় নেই, পরিচ্ছন্ন কর্মী নেই, সবকিছুই যেন নেই নেই অবস্থা। বাগমারা উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় লক্ষ লক্ষ জনগণের বসবাস। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশায় চিকিৎসা সেবায় নেমে এসেছে বিপর্যয়। ৩জন চিকিৎসক দিয়ে বর্তমানে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসা সেবা। এতে করে সরকারি ঘোষিত গ্রামে গঞ্জের হতদরিদ্র জনসাধারণের চিকিৎসা সেবার মান সর্ব নি¤্ন পর্যায়ে পৌছেছে। সবকিছুই আছে নেই শুধু বিশেষজ্ঞ চিকিৎক। সূত্রে জানা যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কারণে গ্রামেগঞ্জে চিকিৎসকরা থাকছেন না। টাকার বিনিময়ে তারা শহরে বদলী হয়ে যাচ্ছে। দেখার যেন কেহ নেই। বেহাই যদি আবাদ খায় তাহলে আর করার কিছু থাকে না আম জনতার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে চিকিৎসকদের বলেছেন গ্রামেগঞ্জে থাকতে না চাইলে চাকুরী ছেড়ে দিন। কিন্তু স্বাস্থ্য ডিজি তো প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে পাত্তা না দিয়ে বদলী আদেশ দিয়েই চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ঘোষণাই থেকে যাচ্ছে। একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যদি ২৪ জন চিকিৎসকের স্থলে ৩ জন চিকিৎসক থাকে তাহলে সারা দেশের গ্রামে গঞ্জের চিকিৎসা কি অবস্থা। স্বাস্থ্য মন্ত্রী নিজেও এই বদলী বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। তাছাড়া কিভাবে চিকিৎসকরা গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হতে পারছে। স্থানীয় এমপি সাহেবরা আখের গৌছাতে ব্যস্ত। জনসাধারণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। দিনের পর দিন গ্রামে গঞ্জের হতদরিদ্র রোগীরা সরকারি ভাবে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে ভিটামাটি বিক্রি করে ছুটছেন শহর ও গ্রামে গঞ্জে গড়ে উঠা অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক গুলোতে। সেখানেও তারা চিকিৎসার নামে প্রতারিত হচ্ছেন। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দেশে যেন কোন সরকার নেই। ফলে নজর দারীর অভাবে ভেঙ্গে পড়েছে গ্রামে গঞ্জের সরকারি চিকিৎসা সেবা।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ