ঢাকারবিবার , ২১ এপ্রিল ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

১৫০ বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে মুর্শিদাবাদের ঐতিহ্যবাহী কাতলামারী উচ্চ বিদ্যালয়

omor faruk
এপ্রিল ২১, ২০১৯ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিবেদক :
১৫০ বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রানীনগর থানার ঐতিহ্যবাহী কাতলামারী উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা প্রতিক‚লতা পেরিয়ে আজও স্বমহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। দেশ বিভাগের আগ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনা করতেন। এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ধরে রেখেছেন। বাংলাদেশের শিক্ষানগরী রাজশাহী থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল খবর ২৪ ঘণ্টা কাতলামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সন্ধান পায় ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র আমিরুল ইসলামের মাধ্যমে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮৬৫ সালে কাতলামারী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে ১৫০ বছর পূর্তি উৎসব পালিত হয়। ১৫০ বছর পূর্তি উৎসব

পালিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে। পশ্চিমবঙ্গের লোকসভার বিধায়কসহ শিক্ষা অধিদপ্তরের বড় বড় কর্মকর্তা এবং পঞ্চায়েত প্রধানরা এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বানী দেন। প্রত্যেকের মুখেই প্রতিষ্ঠানটি গৌরবগাঁথা সাফল্যের কথা শোনা যায়। এই সাফল্য যেন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সব মানুষের। কারণ এই প্রতিষ্ঠান থেকেই পড়াশোনা করে বড় হয়েছেন অনেকেই। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয় বাংলাদেশের রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা কাতলামারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যেত। দেশ ভাগের পর অবশ্য বাইরের দেশের মানুষ সেখানে পড়তে যেতে পারেনি। কিন্ত জেলার মানুষ এই বিদ্যালয় থেকেই পড়াশোনার পাঠ চুকিয়েছেন। বিদ্যালয়টি অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজ গৌরবগাঁথা সময় পার করছে। বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদ্যুৎ প্রামাণিক। তিনিও এই বিদ্যালয়ের জন্য নিজের সবটুকু সময় বিলিয়ে দিয়েছেন। পাঠদান ও স্কুলের সুনাম বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সুনামধন্য কাতলামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদ্যুৎ প্রামাণিকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১৮৬৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। এখান থেকে বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেছেন। এমনকি দেশ ভাগের আগে রাজশাহী থেকেও শিক্ষার্থীরা

পড়াশোনা করতে আসতো। এখন শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠানটি আরো একধাপ এগিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা, রবীন্দ্র বিদ্যালয় ও আবাসিক ছাত্রী হোস্টেল।
তিনি আরো জানান, রবীন্দ্র বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক ক্লাস শনিবার ও রোববারে হয় দশম ও দ্বাদশ শ্রেণী। বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সনদপত্র পায়। যাতে চাকুরীর ক্ষেত্রে তাদের সুবিধা হয়। এ ছাড়া আবাসিক ছাত্রী হোস্টেলে সম্পূর্ণ বিনা খরচে ৫০ জন দুঃস্থ পরিবারের ছাত্রী থাকা ও পড়াশোনার সুযোগ চার বছর ধরে পায়। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যায়ে আসায় সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি এবং সেই সাথে প্রতিষ্ঠানটির উত্তরাউত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। যোগাযোগ: +৯১৯৭৩২৮০৬০৭০

খবর ২৪ ঘণ্টা/আর

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।