1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
১১ মাস পর প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে মিললো কিশোরীর লাশ - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

১১ মাস পর প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে মিললো কিশোরীর লাশ

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১

নিখোঁজের ১১ মাস পর কথিত প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুরে ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামে।  শনিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কথিত প্রেমিক সাহাবুদ্ধিন আকনের প্রদান করা তথ্যে পুলিশ কিশোরী মুর্শিদা আক্তারের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামের চাঁনমিয়া হাওলাদারের মেয়ে মুর্শিদা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার সঙ্গে একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকন, দু’জনের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধেরে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসার কথা বলে নিয়ে যায় কথিত প্রেমিক সাহাবুদ্দিন। এরপর মুর্শিদাকে পাওয়া না গেলে ওই মাসের ১৮ তারিখ ডাসার থানায় একটি জিডি করে মুর্শিদার পরিবার।

এ বিষয়ে কোনও প্রতিকার না হওয়ার জন্য গত বছরের ৪ মার্চ মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম কথিত প্রেমিক সাহাবুদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া এবং দীর্ঘদিনে মামলার অগ্রগতি না দেখতে পেয়ে পিবিআইতে মামলাটি স্থানান্তরের জন্য বাদী পক্ষ আবেদন করেন। তারপর মামলাটির তদন্তভার মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রহণ করে।

গত ৭ জানুয়ারি মামলার আসামি কথিত প্রেমিক সাহাবুদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই তারিকুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর শনিবার বিকেলে মুর্শিদা হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সাহাবুদ্দিন গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করে এবং পরে কিশোরীর মরদেহ গুমের কথা জানান।
সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্যমতেই ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মেয়ের মা বলেন, দীর্ঘ ১১ মাস পর মেয়ের গলিত মরদেহ পেলাম। পুলিশ সহযোগিতা করলে অনেক আগেই মেয়েকে জীবিত পেতাম। মামলার এতদিন পর আসামি ধরা পড়ল কিন্তু মেয়েকে আর জীবিত পেলাম না।

মেয়ের মামা টিপু সুলতান বলেন, আমার ভাগ্নিকে গত ফেব্রুয়ারিতে তুলে নেয় সাহাবুদ্দিন। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর মামলা করতে গেলে অসহযোগিতা করে পুলিশ। পরবর্তীতে মামলা নিলেও তারা আসামি ধরেনি। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তভার গ্রহণ করার পর আসামি ধরা পড়ে এবং ভাগ্নির গলিত লাশ পাই আমরা।

এ বিষয়ে মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, কথিত প্রেমিক সাহাবুদ্দিন আকনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST