ইউক্রেনের ১১টি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এর মধ্যে অধিকাংশ দল রুশপন্থি বলে অভিযোগ।
রোববার (২০ মার্চ) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়।
নিষিদ্ধ দলগুলোর মধ্যে ‘ফর লাইফ’ অন্যতম। এটি ইউক্রেনের বৃহত্তম রুশপন্থি দল। এ ছাড়া বিরোধী দল, পার্টি অব শরিয়া, আওয়ার্স (আমাদের), বাম বিরোধী দল, বাম দলীয় ইউনিয়ন, রাজ্য দল, ইউক্রেনের প্রগতিশীল সমাজতান্ত্রিক দল, সমাজতান্ত্রিক দল ইউক্রেন, সমাজবাদী দল ও ভ্লাদিমির সালদো ব্লক দলকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যতদিন সামরিক আইন বহাল থাকবে, ততদিন এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দু’দিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৪ হাজার ৪০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৮৪৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
বিএ