বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন যেভাবে বিতরণ করা হচ্ছে তার কড়া সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এখন পর্যন্ত মোট ভ্যাকসিনের ৭৫ ভাগই মাত্র ১০টি দেশের দখলে রয়েছে। ভ্যাকসিনের এই বণ্টনকে ‘চরম অসম ও অন্যায্য’ বলে উল্লেখ করেছেন গুতেরেস।
বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে গুতেরেস বলেন, ১৩০টি দেশ এক ডোজ ভ্যাকসিনও পায়নি। তিনি বলেন, ‘এই কঠিন মূহূর্তে ভ্যাকসিন সমতাই বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।’
সকল দেশে ভ্যাকসিনের ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি বৈশ্বিক ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস। এতে বিজ্ঞানী, ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও অর্থ প্রদানকারীরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
জি-২০ জোটের বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশগুলোর প্রতি একটি জরুরি টাস্ক ফোর্স গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এই টাস্ক ফোর্স ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, গুরুতপূর্ণ শিল্প ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে একত্রিত করবে।
গত শুক্রবার এক বৈঠকে গুতেরেস বলেছিলেন, শীর্ষ ৭ অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশের জোট জি-৭ প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক যোগানের উৎসগুলোকে একত্রিত করতে পারে।
গত মঙ্গলবার মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারসেলো এবরার্দ জানান, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মেক্সিকো সকল দেশের জন্য ভ্যাকসিনের সম বণ্টনের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করবেন।
তিনি সমালোচনা করে বলেন, যেসব দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হচ্ছে সেসব দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগের হার অনেক বেশি, অথচ দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো ভ্যাকসিন পেতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ভ্যাকসিন কেনা ও সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে। কোভ্যাক্স নামের এই উদ্যোগে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্য অর্জনে ইতোমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে সংস্থাটি।
কোভ্যাক্সের আশায় বসে না থেকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কিছু উন্নয়নশীল দেশ বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন কেনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
জেএন