শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেটে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বিপর্যয় সামলে খুব কাছে গিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এমন হারেও বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন প্রাপ্তি জাকের আলী অনিক। আর অনিকের প্রাপ্তি অনেক কিছু। হারলেও ভেঙে পড়ছেন না তিনি।
২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই স্কোরটা ২০৩ রানে যায় দুই ফিনিশার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকেরের ফিফটিতে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৫ রান। সেই সমীকরণ মেলাতে দেননি দাসুন শানাকা। প্রথম ৩ বলে তুলে নেন ২ উইকেট। তৃতীয় বলে জাকের ৩৪ বলে ৬৮ রান করে ফিরলে স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।
তবে সিলেটের ঘরের ছেলের এমন ব্যাটিং দেখে তৃপ্ত সবাই। কিন্তু জাকের কি তৃপ্ত? সেটি জানা গেল ম্যাচ শেষে। গত রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই তরুণ ফিনিশার বললেন, ‘আমার চেহারা দেখেই বুঝতে পারছেন, আমি কেমন আছি। হার তো সব সময়ই বেদনার।’
মাহমুদউল্লাহ থাকতেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে চলে এলেন জাকের। পূর্বসূরি ও উত্তরসূরির ব্যাটিংটাও গতকাল ছিল উপভোগ্য। আর সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে বিশেষ নজরকাড়া জাকের তো এসেই গড়লেন রেকর্ড। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটারের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এখন তাঁর।
গত ১ মার্চ মিরপুরে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে বিপিএল ফাইনালে হেরেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে খেলা জাকের। সেই ক্ষত না শুকাতেই আরেকটি হার। স্বাভাবিকভাবে হতাশ জাকের। তবে আশা হারাচ্ছেন না তিনি, ‘ফাইনালে (বিপিএল) হারের পর রাতে ঘুম হয়নি। দেশের হয়ে জিততে পারলে ভালো লাগত। তবে আমি ভেঙে পড়ব না। অবশ্যই জেতা যায় সামনে, এ ম্যাচে হারলেও দল হিসেবে অনেক পাওয়ার আছে।’
এশিয়ান গেমসের ম্যাচগুলো বাদ দিলে প্রথমবার বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে নেমে জাকের অবশ্য স্নায়ুচাপে ভুগেছেন শুরুতে। ব্যাটিংয়ে নিয়ন্ত্রণ পেতে বেশ সময় লেগেছে। তবে একজন ‘অভিষিক্ত’ কে মাহমুদউল্লাহ যথেষ্ট সাহস জুগিয়েছেন। জাকেরকে স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে সাহস জুগিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এমন দারুণ ব্যাটিংয়ের পেছনে সেটি তাঁকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে জানালেন জাকের, ‘যখন ব্যাটিংয়ে যাই, মাহমুদউল্লাহ ভাই ছিলেন। তিনি আমার স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে বলেছিলেন। তিনি হিসাবি ঝুঁকি নিয়ে বাউন্ডারি মারছিলেন। এটা আমাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে ব্যাটিং করার।’
জ/ন