1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় হাইকোর্টে দেওয়া প্রতিবেদনে যা বললেন চট্টগ্রামের ডিসি-এসপি - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ১ জানয়ারী ২০২৫, ০৭:৪ অপরাহ্ন

মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় হাইকোর্টে দেওয়া প্রতিবেদনে যা বললেন চট্টগ্রামের ডিসি-এসপি

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৪ মারচ, ২০২১

হাটহাজারীর মারকাজুল কোরআন ইসলামি অ্যাকাডেমি মাদ্রাসায় মো. ইয়াসিন ফরহাদ (৭) নামে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

রোববার (১৪ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চে দাখিল করা হয়।

জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদনে বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিশুটিকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া, শিশুটিকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে চকলেট, কেক, গল্পের বইসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা উপহার দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তনাধীন। এছাড়া, ঘটনার পরদিন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।

ঘটনার পরপরই শিশুটির গ্রামের বাড়িতে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে বিষয়টি নজরে আনার পর গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিষয়টি নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

ওই ঘটনায় শিশুটির পরিবার থানায় মামলা করার পর অভিযুক্ত মারকাজুল কোরআন ইসলামি অ্যাকাডেমি মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়েছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।

বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে হাটহাজারী থানায় এ মামলা দায়ের করা হয় বলে  নিশ্চিত করেছেন থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনুর রশিদ। তিনি  জানান, শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিশুটির বাবা মোহাম্মদ জয়নাল বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।

মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে বিকেলে হাটহাজারী পৌরসভার কামাল পাড়া পশু হাসপাতালের পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে  জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তৌহিদ।

গ্রেফতার হাফেজ ইয়াহিয়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাফরভাটা গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে।

জানা গেছে, মারকাজুল কোরআন ইসলামি অ্যাকাডেমি মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাত বছর বয়সী শিশু ইয়াসিনকে মঙ্গলবার বিকেলে দেখতে যান মা পারভিন আক্তার ও বাবা মোহাম্মদ জয়নাল।

কিন্তু ফেরার সময় ছোট্ট শিশুটি মা-বাবার সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরে। এক পর্যায়ে শিশুটি মা-বাবার পিছু পিছু মাদরাসার মূল ফটকের বাইরে চলে আসলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মাদরাসার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া।

মূল ফটকের বাইরে যাওয়ায় শিশুটিকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন তিনি। এ সময় শিশুটির বাঁচার আকুতিও শোনেননি ওই শিক্ষক। মঙ্গলবার রাত থেকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

রাতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুকে উদ্ধার করেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে শিশুটির বাবা-মায়ের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে তখন ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST