খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের হরতাল কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হরতালের ডাক দিলেন আর মানুষ লাফ দিয়ে পড়বে— এমনটা হবে না। বরং মানুষ আপনাদের শাস্তির জন্য অপেক্ষা করছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবন্ধী রিকশাচালককে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জুলাই বিপ্লবে নিহত-আহতরা বিচার চায়। আহনাফের মতো ছেলেকে যারা গুলি করেছে, তাদের আত্মা রক্তপিপাসু নেকড়ের আত্মা। শেখ হাসিনার কাছে নারী শিশুর কোনো মূল্য নেই, একটাই মূল্য সিংহাসন। তিনি কতজনকে সন্তানহারা করেছে হদিস নেই। গুলি ছিল শেখ হাসিনার কাছে একটা খেলা। ক্রসফায়ার ছিল আনন্দের বিষয়। বিরোধী পক্ষের লাশ দেখলে খুশি হতেন হাসিনা। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ এক নারী।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো পদক্ষেপ দেখি না। যারা আহনাফ, আবু সাঈদ, মুগ্ধকে হত্যা করেছে তারা আইনের লোক। তাদেরকে কারা আইনের হাত থেকে রক্ষা করছে? সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকেই বাদী হয়ে মামলা করা উচিত।
শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, কোনো প্রতারক রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে তার সন্তানদেরও প্রতারক বানায়, তার উদাহরণ শেখ হাসিনা। কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে পূর্বাচলে নিজের সন্তান এবং আত্মীয় স্বজনের প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি।
এত মানুষ হত্যার পরও হাসিনা কীভাবে কর্মসূচি দেয়, প্রশ্ন সারজিসের
সালমান এফ রহমান প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, দরবেশ ব্যাংক ধ্বংস করেছে, শেয়ার বাজার ধ্বংস করেছে। তিনি আবার নিজের ছাই থেকে জন্ম নিতে চাচ্ছেন। ঢিলেঢালাভাবে সরকার পরিচালনার জন্য আজকে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার বিচার নিশ্চিত হলে মানুষ বুঝবে সরকার কাজ করছে। অন্যথায় এ সরকারের প্রতি মানুষের যে সমর্থন, সেটা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমরা বিএনপি পরিবার। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন— বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জান মিল্লাত, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
বিএ..