নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর দুর্গাপুরে ৩ মাস পূর্বের হত্যাকান্ডের জেরধরে জামিনে থাকা ওয়াজেদ আলী (৭০) নামের এক হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও স্ত্রী ও সন্তানসহ তিনজনকে জনকে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হোজা অনন্তকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪ টায় মারা যায় হত্যা মামলার আসামি ওয়াজেদ আলী। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। আহতরা হলেন, নিহত ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী লাইলী বেগম (৬০) ও তার ছেলে মাসুম আলী (২৮)। এদের মধ্যে ২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি চলে যাওয়ায় নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত ১৪ মে একই গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় হাসিবুর নামে এক যুবক নিহত হন। ওই ঘটনায় গত ১৫ মে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। যার মামলা নম্বর ১৩। এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন নিহত ওয়াজেদ আলী। ওয়াজেদ আলী জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় অবস্থান করছিলেন। রোববার সকালে ওয়াজেদ আলী তার ছেলেকে নিয়ে হোজা অন্ততকান্দি গ্রামের বিলের পশ্চিম পাশে নিজ পান বরেজে কাজ করছিলেন। এ সময় একই গ্রামের একরামুল, ফয়সাল, এমদাদুল, হান্নান ও মান্নানসহ ১০-১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া ও রামদা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় তাদের ওপরে। হামলায় ওয়াজেদ আলীর মাথা, বাঁম হাতের কব্জি ও পায়ে গুরুতর জখম হয়। এছাড়াও তার ছেলে ও স্ত্রী গুরুতর আহত হোন। তাদেরকে দুর্গাপুর ও রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল ৪ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওয়াজেদ আলী।
এব্যাপারে, দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হোদা বলেন, পুর্বে একটি হত্যাকান্ডের ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াজেদ আলী নামে একজন মারা গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিএ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।