খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক :
‘পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়’ এমন শ্লোগানকে সামনে রেখে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের দিকনির্দেশনা মূলক সভা ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের ভিশন অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সড়ক দুর্ঘটনারোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সাধারণ সদস্যদের করণীয়’ শীর্ষক সভায় সংগঠনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এসব কথা বলেন।সড়ক দুর্ঘটনায় বর্হিবিশ্বের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যেখানে সারাবিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি লাখে ২-১ জন মারা যায়, সেখানে বাংলাদেশে মারা যায় ৬৭ জন।’ তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনা মানুষের দ্বারাই সৃষ্ট; এটা ভাগ্যের দ্বারা সৃষ্ট নয় যে কেউ বলবে যে, ‘আল্লার মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে!’ তিনি আরও বলেন, আমাদের সচেতন হলেই চলবে না। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন উন্নত করতে হবে, সেই সাথে ড্রাইভারদেরকেও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
রাজনৈতিক নেতাদের গতানুগতিক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নেতারা শুধু মানুষকে সচেতন হতে বলেন। কিন্তু কীভাবে মানুষ সচেতন হবে, সে বিষয়ে তারা পরিস্কার বলেন না। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সবার আগে তো গাড়ি চালানো জানতে হবে; তারপরেই তো সচেতন হয়ে চালকরা গাড়ি চালাবে।নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের এই কর্ণধার জনসচেতনতার লক্ষ্যে বলেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশেই যাত্রীরা চালককে তাড়াতাড়ি গন্তব্যে যাবার কথা বলেন না, বরং তারা সাবধানে গাড়ি চালাতে বলেন। একমাত্র বাংলাদেশেই যাত্রীরা গাড়িতে উঠেই বলেন যে, তাড়াতাড়ি গাড়ি চালাও।’ সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আলম দীপেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব সৈয়দ এহসান-উল হক কামাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আজাদ হোসেন প্রমুখ।সূত্র: আমাদের সময়.কম
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে