সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী একটিভ সিটিজেনসরা তাদের কমিউনিটি তে মহামারি প্রতিরোধে কাজ করে চলছে। সোস্যাল মিডিয়া থেকে তাদের এই কার্যক্রম সবসময়ই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। এই পরিস্থিতিতে নিজের কমিউনিটি রক্ষার্থে অনেকে আবার সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পূর্বে আমরা রাজশাহীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে “Reproductive Health Awareness ” নামে একটি সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতাম। লকডাউনের সময় আমরা জানতে পারি যে, সেই সব কিশোরীদের পরিবারের বিশেষত আদিবাসী গোষ্ঠীর আয় সঙ্কোচন ঘটায় তারা তাদের প্রয়োজনীয় প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারছেনা। প্রথমে আমরা ফান্ড সংগ্রহ করে কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিই,কিন্তু আমরা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হই। এরই প্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, আমরা সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন উদ্যোক্তা হয়ে আমাদের সামাজিক উদ্যোগ কে সচল রাখবো এবং আমাদের উদ্যোগ “ব্যালকনির” যাত্রা শুরু করি। এই কার্যক্রমে আমরা আমাদের নিজেদের ছাদ বাগান থেকে উৎপাদিত গাছ কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিই এবং শুভেচ্ছা মূল্যের লভ্যাংশের একটা অংশ দিয়ে কিশোরীদের কাছে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী গুলো পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
আমাদের পুরো কার্যক্রমটিই ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে পরিচালিত হচ্ছে। অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের কাজের উদ্দেশ্য সকলের কাছে পৌছানোর চেষ্টা করছি।
আমরা এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের কাছে আমাদের গাছ গুলো পৌঁছাতে পেরেছি এবং পাশাপাশি আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য অনেকে নিজেদের গাছ দিয়ে সহায়তা প্রদান করেছেন। সেই শুভেচ্ছা মূল্য থেকে আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ জন আদিবাসী কিশোরীসহ ২০০ জন কিশোরীকে তাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষাসামগ্রী পৌঁছে দিতে পেরেছি।
ব্যালকনির কার্যক্রমে ৫ জন ইয়ুথ নিয়মিত কাজ করছে ও ২০ জন ইয়ুথ এবং ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ -রাজশাহীর উপদেষ্টা মন্ডলী পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করছে । এই কার্যক্রমে কে দি হঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ ও ব্রিটিশ কাউন্সিল নানা ভাবে সহযোগিতা করছে। তাছাড়া হাসিন এগ্রো নামে একটি নার্সারি আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এছাড়া আমাদের কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের লাইভ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যালকনি সম্পর্কে তুলে ধরি।পাশাপাশি আমাদের কার্যক্রমের খবর ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের অফিসিয়াল পেজে, তারুণ্য বার্তা, অনুপ্রেরণা সহ বিভিন্ন অনলাইন প্রকাশনায় প্রকাশিত হয়েছে যা আমাদের কাজকে আরও বিস্তৃত করতে সহায়তা করছে।
এই করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের উচিৎ নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজের পরিবার, সমাজ এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখা।পাশাপাশি যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের কষ্টের পরিমাণকে লাঘব করা।
সমগ্র বাংলাদেশ থেকে বাছাইকৃত কিছু সামাজিক উদ্যোগের মধ্যে আমাদের ব্যালকনির কার্যক্রম সেরা ১০ এর মধ্যে নির্বাচিত হয়েছে।
এখন আপনাদের কিছু লাইকে আমাদের উদ্যোগ টি সেরা ১০ এর মধ্যে সেরা হতে পারে। পোস্টের ছবি ক্লিক করে যেকোনো একটি রিএকশন দিলে একটি করে ভোট গণনা হবে।
ব্যালকনিকে জিতিয়ে দিতে সবাই এগিয়ে আসি।
এমকে