বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারা উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের জনৈক আক্কাস আলী মেয়ে রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শিখা বেগম (২০) স্বামীর পরকিয়ায় অবশেষে প্রাণ দিতে হলো বাগমারা শিখা বেগমের। জানা যায়, দূর্গাপুর উপজেলার কয়ামাজমপুর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে মাসুদ রানা (৩০) এর সাথে ৬বছর আগে সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাদের এক পর্যায়ে বিয়ে হয়। এর পর থেকে তারা স্বামী
স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করে আসছিল। স্বামী মাসুদ রাজশাহীর বনবিভাগের অফিস সহায়িকা পদে চাকুরী করার সুবাদে রাজশাহী শহরে বসবাস করত। গত বৃহস্পতিবার ২৪ মে রাতে শিখা তার বাবাকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, তার গোপন অঙ্গের পার্শ্বে প্রচন্ড রকমের জ্বালা-যন্ত্রণা করছে। খবর পেয়ে শিখার বাবা শুক্রবার রাজশাহীতে মেয়ের বাসায় যায়। পরে
অবস্থা গুরুতর হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর পর স্বামী মাসুদ তার শ্বশুর আক্কাস আলীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে লাশ পোর্ষ্ট মর্টেম না করার জন্য অনুরোধ জানায়। পরে এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী জানায়, মাসুদ দীর্ঘদিন যাবৎ কয়ামাজমপুর গ্রামের জনৈক
ফিজারের স্ত্রী মীমের সাথে একই ফ্লাটে থাকার কারণে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পরকিয়া ও মাদকের বিক্রয়ের বিষয়টি শিখা বেগম জেনে ফেলে তার পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীরা জানায়, কয়েকদিন আগে মাসুদ শিখাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় ঘুমন্ত শিখাকে বিষাক্ত পয়জন ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে বলে
এলাকাবাসী সন্দেহ করছে। লাশ পোষ্ট মর্টেম করলেই শিখা বেগমের হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন হবে। কে এই মাসুদ! সামান্য বন বিভাগের এক অফিস সহায়ক হিসেবে চাকুরী করে কীভাবে সে কোটি কোটি টাকার মালিক হয় সেই নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। রাজশাহীর কাটাখালীতে তার একটি বিলাশবহুল বহুতল ভবন ছাড়াও তার গ্রামের বাড়ি
কয়ামজমপুরেও খুব সম্প্রতি একটি ফ্লাট বাড়ি নির্মাণ করেছে। মাসুদ মাদক ব্যবসায়সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। গতকাল শনিবার সরেজমিনে শিখা বেগমের চাইপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এলাবাসীর সাথে শিখা বেগম
হত্যার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এলাকাবাসীরা জানায়, পোষ্ট মর্টেম ছাড়াই লাশ দাফন করায় এলাকাবাসীর মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও মাসুদের রহস্যজনক চলাফেলা ও রাজশাহীর মডার্ণ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সাথে সে জড়িত ফলে
এলাকাবাসীর মাঝে নানা প্রশ্নে উদ্রেক করেছে। এলাকাবাসী শিখা বেগমের রহস্যজনক হত্যাকান্ডের পোষ্ট মর্টেমের দাবী জানিয়েছেন। এব্যাপারে শিখার স্বামী মাসুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ