স্বামী রাজ কুন্দ্রা গ্রেফতারের পর চুপ ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠী। বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন তিনি। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। রাজ গ্রেফতারের চার দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভেসে উঠল আমেরিকান লেখক জেমস থার্বারের কিছু উক্তি শেয়ার করেছেন তিনি। এভাবেই মুখে কিছু না বলেও বর্তমানে নিজের অবস্থান যেন স্পষ্ট করে দিলেন শিল্পা।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) পোস্ট করা স্টোরিতে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, যা ঘটে গেছে বা যা ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে ভেঙে পড়তে নারাজ তিনি। এই মুহূর্তে বেঁচে থাকাটাই যেন তাঁর কাছে আশীর্বাদস্বরূপ।
শিল্পা শেয়ার করেছেন, ‘যারা আমাদের কষ্ট দেয়, তাদের দিকে আমরা রাগ করে তাকাই। আমরা হতাশ হই। দুর্ভাগ্য সহ্য করি। আমরা ভয় পাই হয়তো এই ভেবে যে আমাদের চাকরি চলে যাবে, কোনো রোগ হবে বা কোনও প্রিয় মানুষের মৃত্যুযন্ত্রণা সহ্য করতে হবে। আমাদের এই মুহূর্তে বাঁচতে হবে। কী হয়ে গিয়েছে বা হতে পারে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে লাভ নেই।’
স্টোরির শেষ অংশে লেখা, ‘একটা দীর্ঘ শ্বাস নিই। আমি ভাগ্যবান, আমি বেঁচে আছি। অতীতে প্রচুর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। ভবিষ্যতেও হব। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি যে ভাবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, তা থেকে কেউ আমায় সরিয়ে আনতে পারবে না।’
শিল্পার স্বামী আপাতত হাজতবাসে। চারদিকে নিন্দার ঝড়। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল শিল্পার দিকেও। জীবনের এই মোড় ঘোরানো পরিস্থিতেই মুক্তি পাচ্ছে শিল্পার ছবি ‘হাঙ্গামা ২’। অজস্র বিতর্কেও মাঝেও পুরোপুরি পাল্টে যায়নি তার পেশাগত জীবনের গতিপথ।
পর্ন কেলেঙ্কারিতে রাজ গ্রেফতার হওয়ার পরেই সন্দেহের অভিমুখ ঘুরে গিয়েছিল শিল্পার দিকে। প্রশ্ন উঠেছিল, স্বামীর ব্যবসার সঙ্গে কি জড়িত ছিলেন শিল্পাও? আর যদি তা নাও থাকেন, তিনি কি রাজের এই কার্যকলাপ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না? যদি জেনে থাকেন, তা হলে আটকাননি কেন?
তদন্তে নেমে এখনও শিল্পার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পায়নি মুম্বাই পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও আপাতত ডেকে পাঠানো হয়নি তাকে। রাজের গ্রেফতারের পর মা এবং বোন শমিতা শেঠীর সঙ্গে থাকছেন তিনি। বন্ধ রেখেছেন রিয়্যালিটি শোয়ের শ্যুটও।
আজ রাজের বিষয়ে রায় দেবেন ভারতীয় আদালত।
এর আগে গত ১৯ জুলাই রাতে শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ। রাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পর্ন ছবি বানিয়ে সেগুলো বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে মানুষের ফোনে ছড়িয়ে দিতেন।
জেএন