1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
স্বর্ণ-হীরা চোরাচালানেও গরু ব্যবহার করতেন মডেল পিয়াসা! - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন

স্বর্ণ-হীরা চোরাচালানেও গরু ব্যবহার করতেন মডেল পিয়াসা!

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১

শুধু গরুর পেটে করে ইয়াবা নয়, হীরার ও স্বর্ণের চালানও আনতেন বিতর্কিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও তার অন্যতম সহযোগী মিশু হাসান। মিশুর মাধ্যমে ইয়াবা, হীরা এবং সোনার চালান আনা হলেও বিক্রির মূল কাজটা করেন পিয়াসা নিজেই। রাজধানীর উপকণ্ঠে সান ডেইরি নামের একটি গরুর ফার্মের আড়ালে তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম করে আসছিল।

পিয়াসাকে গ্রেফতারের পর মিশু হাসানকেও গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপরই চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানা গেছে, পিয়াসা ও মিশু সিন্ডিকেটের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে, যা আজ-কালের মধ্যে অনেকটা খোলাসা হতে পারে। ধরা পড়তে পারে জনৈক নজরুলসহ আরও বেশ কয়েকজন গডফাদার। এ ছাড়া গ্রেফতার তালিকায় শোবিজ জগতের অনেকের নামও রয়েছে।

গ্রেফতারের পর রাজধানীর গুলশান থেকে মিশু হাসানের প্রায় ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ফেরারি ব্র্যান্ডের গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। মিশু শুধু বিদেশে থেকে আমদানি নিষিদ্ধ দামি ব্র্যান্ডের গাড়িই দেশে আনতেন না, তার ডেইরি ফার্মের জন্য গরু আমদানির নামে আনতেন স্বর্ণ ও হীরার চালান, যা বিশেষ কৌশলে গরুর পেটে ঢুকিয়ে আনা হতো।

ফেরারি, ল্যাম্বারগিনি, পোরশে, মাজদা। অভিজাত এবং বিলাসবহুল এসব গাড়ির দাম আকাশছোঁয়া। চাইলেও যে কেউ এসব গাড়ির মালিক হতেও পারে না। কারণ এসব গাড়ি বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ। কিন্তু ডিবির হাতে গ্রেফতার বিতর্কিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা চোরাইপথে এসব গাড়ি আনতেন ঢাকায়। ক্রেতার অভাব হয়নি। কারণ উচ্চবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া সন্তানদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে তাকে গাড়ি বিক্রিতে বেগ পেতে হয়নি।

তবে পিয়াসার চোরাচালান চক্রের প্রধান সহযোগী মিশু হাসান নামের এক যুবক। চোরাচালানের সুবাদে তিনিও এখন হাজার কোটি টাকার মালিক। রাজধানীর উপকণ্ঠে সান ডেইরি নামের একটি গরুর ফার্মের আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অস্ত্রের কারবারে জড়িত। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানির সময় গরুর পেটে করে আনা হয় হীরা ও স্বর্ণের চালান। গত ৫ বছরে এভাবে হাজার কোটি টাকার চালান দেশে আনা হয়।

সূত্র বলছে, শুধু হীরার এবং স্বর্ণের চালান নয়, গরুর পেটে করে ইয়াবার চালানও আনা হয়। এজন্য মাঝে মাঝে টেকনাফ থেকেও গরুর চালান আনা হতো। এভাবে চোরাচালানের টাকায় রাতারাতি বিত্তশালী বনে যান মিশু।

মিশু একসময় রাজধানীতে পেশাদার ছিনতাইকারী হিসাবে পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিলেন। পিয়াসা ও মিশুর অপরাধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। আজ এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হতে পারে।

সূত্র আরও বলছে, মিশুর মাধ্যমে ইয়াবা, হীরা এবং সোনার চালান আনা হলেও বিক্রির মূল কাজটা করেন পিয়াসা নিজেই। এ জন্য তিনি ডার্ক ওয়েব এবং ফেসবুক চ্যাটিং গ্রুপ ব্যবহার করতেন। মিশুর মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্রের চালানও আনা হয়। পিয়াসার ইয়াবার মূল ক্রেতা ছিলেন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল পড়ুয়া ধনী পরিবারের সন্তানরা।

রাজধানীর বারিধারার বাসায় গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে আটক করা হয়। এরপর গভীর রাতে মোহাম্মদপুরে একটি বাসা থেকে ইয়াবাসহ মডেল মৌ আক্তারকে আটক করে ডিবি।

পিয়াসা ও মৌ একই সিন্ডিকেটে কাজ করত বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কোনো বৈধ আয়ের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। মামলা হওয়ার পর সোমবার তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST