1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
স্বজনদের মাঝে ফিরেছেন এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিক - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ন

স্বজনদের মাঝে ফিরেছেন এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিক

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিক দীর্ঘ দুই মাস পর অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি কনটেইনার টার্মিনালে পৌঁছেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি টার্মিনালে পৌঁছে স্বজনদের পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। বিকেল ৪টার দিকে তাঁদের বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ এমভি জাহান মণি-৩ জেটিতে নোঙর করে। সেখানে তাদের বরণ করে নেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর আগে বেলা ১২টার দিকে নতুন নাবিকদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে জাহাজটিতে করে তাঁরা বন্দর জেটির উদ্দেশে কুতুবদিয়া থেকে রওনা হন।

২৩ নাবিকের বরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও সচিব ওমর ফারুক। এছাড়া জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৪০মিনিটের দিকে জাহাজটি কুতুবদিয়ায় বঙ্গোপসাগরে নোঙর করে। একইদিন এমভি জাহান মণি-৩ নামে একটি লাইটারেজ জাহাজে করে ২৩ নাবিকের নতুন একটি টিম কুতুবদিয়ায় পৌঁছে। একই জাহাজে ফিরতি ট্রিপে তারা চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে।

আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।
১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই কোম্পানির জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন তারা।

বিএ…

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST