খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসচান্দা এলাকায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৮ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছনি বলে অভিযোগ উঠেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় ওই মা বাদী হয়ে মডেল থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে রিফাত নামের একজনকে প্রধান আসামি করে মামলা করলেও এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ওই ছাত্রী ও তার পরিবার জানান, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে রিফাত এর বসবাস শহরের কাগমারায় মামার বাড়িতে। এ সুযোগে রিফাতের যাতায়াত চলে ওই স্কুল ছাত্রীর বসবাসরত বাসচান্দা এলাকায়। বেশ কিছুদিন যাতায়াতের পর ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করাসহ উত্যক্ত করতে থাকে রিফাত। উত্যক্তের একপর্যায়ে গত তিন মাস যাবৎ তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। ওই প্রেমের সূত্র ধরেই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে রিফাত কৌশলে তার কাগমারার মামার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় স্কুল ছাত্রী রক্তাক্ত ও জ্ঞান হারিয়ে ফেললে রিফাত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। স্কুল ছুটির পরও ওই ছাত্রী
বাড়িতে না আসায় অনেক খোজাখুজির পরে ওই ছাত্রীর সন্ধান পান তার মা।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিফাতকে প্রধান আসামি করাসহ ২ জনের নামে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানাষ একটি মামলা দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় মামলা হলেও এখনও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশ তারা। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করাসহ এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.নারায়ন চন্দ্র সাহা জানান, হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। বর্তমানে মেয়েটি আশংকা মুক্ত বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ সায়েদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন