আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরান চারটি বিদেশি দূতাবাসে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে যে দাবি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করেছেন তা শুনে ট্রাম্পের উপদেষ্টারা পর্যন্ত বিস্মিত হয়েছিলেন। মার্কিন নিউজ পোর্টাল ডেইলি বিস্টের বরাত দিয়ে ইরানি সংবাদ মাধ্যম বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৩ জানুয়ারি ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যা করে। ট্রাম্প ওই হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়ার কথা স্বীকার করে দাবি করেন, সোলাইমানি চারটি দূতাবাসে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ডেইলি বিস্ট এ সম্পর্কে লিখেছে, ট্রাম্পের ওই দাবি শুনে হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এমনকি তার উপদেষ্টারা পর্যন্ত চমকে গিয়েছিলেন। তারা ট্রাম্পের ওই দাবির কথা শুনে পরস্পরের দিকে বিস্ময়ভরা চোখে তাকান। তারা এ কথার সারমর্ম উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হন যে, কেন ট্রাম্প এরকম একটি উদ্ভট প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।
ওয়েব পোর্টালটি আরো লিখেছে, শেষ পর্যন্ত মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করার বিষয়টিকে বৈধতা দিতে ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে ওই মিথ্যা কথাটি মুখে আউড়িয়েছেন।
ট্রাম্পের পর তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে একই দাবি করেন। কিন্তু গত ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই প্রকারান্তরে তার মিথ্যাচারের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, কাসেম সোলাইমানি আমেরিকার বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় কথা বলতেন বলে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ বক্তব্যের মাধ্যমে এ কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, কথিত চারটি দূতাবাসে সোলাইমানি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে যে প্রচার চালানো হয়েছিল তা ছিল নোংরা মিথ্যাচার।
এমকে