খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: ঐশ্বর্যশালী বিবাহের প্রথার তালিকায় প্রথম দিকেই নাম থাকে ভারতের৷ কারণ, ভারতীয়রা বিবাহকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে৷ সোনার প্রতি ভারতীয়দের মোহকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ তবে সোনার প্রতি চরম আসক্তির প্রমাণ দিলেন এক পাকিস্তানি। পাকিস্তানের ওই ব্যবসায়ীর পরনে ছিল সোনার স্যুট৷ এক স্থানীয় সাংবাদিকের মতানুযায়ী, তাঁর এই আচরণকে অনেকেই টাকার অপব্যবহার বলেছেন৷
নাম সালমান সাহিদ, পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী৷ বাড়ি পাকিস্তানের লাহোরে৷ সকলকে অবাক করে দিয়ে, তিনি তার ওয়ালিমা-দ্য রিসেপশানে পরেছিলেন কয়েক কোটির সোনার স্যুট৷ এখানে শেষ নয়, সঙ্গে ছিল ম্যাচিং স্বর্ণ খচিত টাই৷ পোশাকের সঙ্গে পাল্লা দিতে পায়ে ছিল আসল সোনার জুতো৷ এইভাবেই তিনি সমস্ত লাইম লাইট নিজের দিকে করে নেন হবু স্ত্রীর কাছ থেকে৷
জানা গিয়েছে, স্যুটটির জন্য খরচ করা হয়েছে ৬৩,০০০ পাকিস্তানি মুদ্রা৷ জুতোটি তৈরী হয়েছে ৩২০ গ্রাম আসল সোনা দিয়ে৷ পুরো আউটফিট টির মূল্য ২৫ লক্ষ টাকার মত বলে সূত্রের খবর৷
সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নে তিনি জানান, ‘আমি সবসময় চেয়েছিলাম সোনার জুতো পরতে৷ সাধারণ মানুষ এটিকে গলা পর্যন্ত অথবা মুকুটের মাধ্যমে ব্যবহার করেন৷ আমি মানুষকে বলতে চাই যে ধনসম্পত্তি পায়ের ধুলোর মত এবং সেটার সেখানেই থাকা উচিত৷’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝলমলে সোনা খচিত এই বিবাহ একই সঙ্গে কৌতুক এবং অবজ্ঞার সৃষ্টি করেছে৷ ইনস্টাগ্রামে এক ব্যাক্তি কমেন্টে বলেছেন, ‘একটি জুতো বিক্রি করে একটি সার্জারির খরচ বহন করা সম্ভব৷’ অন্য একজন বলেন, ‘আমি দেখতে চাই কনে কী পরেছেন বরের যখন এত নাখরে’৷ এখন দেখার বিষয় এটা যে এক্ষেত্রে ‘জুতো চুরির’ প্রচলিত নিয়মটি পালন করা হবে কিনা?
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ