নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীতে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তুল, দুইটি ফোল্ডিং চাকু, একটি ওয়াকিটকি, একটি রশি, একটি ব্যাগে সেনাবাহিনীর পোশাক, সেনাবাহিনীর ভুয়া আইডি কার্ড ও বুট উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চব্বিশনগর কাদমাপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন রাজু (২২) ও নগরীর চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনী ২ নং গলি এলাকারর মুজাহিদুল ইসলাম রুবেলের ছেলে আরাফাত ইসলাম রুষ্ট (১৯)। গত রোববার দিবাগত রাত ১১ টা ৫৫ মিনিটের দিকে

তাদের নগরীর আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় থেকে আটক করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সদর গোলাম রুহুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার ফারজিনা নাসরিনের নের্তৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ নগরীর আলিপ লাম-মিম ভাটার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে মোয়াজ্জেম হোসেন রাজু ও আরাফাত ইসলাম রুষ্টকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের সাথে

থাকা আরো ২ জন পালিয়ে যায়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রথমে নিজেদের সেনাবাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেয় এবং আইডি কার্ড দেখায়। আইডি কার্ড দেখে সন্দেহ হওয়ায় আটককৃদের তল্লাশী করে তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তুল, দুইটি ফোল্ডিং চাকু, একটি ওয়াকিটকি, একটি রশি, একটি ব্যাগে সেনাবাহিনীর পোশাক ও বুট পাওয়া যায়। পরে আরো ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, আটককৃতরা মোটরসাইকেল আরোহী আসতে দেখতে তারা রাস্তায় দুই দিক থেকে রশি ধরে গতিরোধ করে মোটরসাইকেল ছিনতাই করে। পলাতক দু’জনসহ ৪ জন মিলে রশি দিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর গতিরোধ করে

মোটরসাইকেল ছিনতাই করার জন্য তারা ওৎ পেতে ছিল। আসামীদের মোবাইল পর্যালোচনা করে তাতে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিধান করে আইডি কার্ড ঝুলানোসহ হাতে ওয়াকিটকি নিয়ে ছবি এবং সেনাবাহিনীর ট্রেনিং-এ অংশগ্রহণ করা অন্যের ছবিতে নিজের ছবি এডিট করে স্থাপন করার ছবি পাওয়া যায় ও এডিটকৃত সেনাবাহিনীর ছবি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আদান-প্রদান করে একাধিক মেয়েকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক করে থাকে। আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আসামীরা অস্ত্র-শস্ত্র সহ ছিনতাইয়ের উদ্যোগ গ্রহণ, সেনাবাহিনীর পোশাক ও ভূয়া আইডি কার্ডসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি হেফাজতে রাখা এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে একাধিক মেয়েকে প্রলোভিত করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অপরাধ করে আসছে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এস/আর