1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
সীমান্তে গোপন সেনা সমাবেশ,মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন

সীমান্তে গোপন সেনা সমাবেশ,মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে গত শুক্রবার ভোর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমারের সেনাদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করেছে বাংলাদেশ। সীমান্ত এলাকায় অন্তত তিনটি পয়েন্টে গত কয়েক দিনে মিয়ানমার সৈন্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। বিনা উস্কানিতে এভাবে সীমান্তের কাছে নতুন করে সেনাসমাবেশের প্রতিবাদে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে গতকাল রোববার তলব করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সন্দেহজনক এসব তৎপরতা বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি অবসানের জন্য মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার সেলের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আজ তলবের পর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের হাতে একটি কূটনীতিক পত্র দেওয়ার বিষয়টিও তিনি জানিয়েছেন।

মিয়ানমার ও ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, সন্দেহজনক গতিবিধির মাধ্যমে এ সেনাসমাবেশ দুই দেশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে গণহত্যা শুরুর প্রাথমিক পর্বে এভাবেই সেখানে সৈন্যদের জড়ো করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ফলে ১১ তারিখ ভোরে শুরু হওয়া সেনাসমাবেশের কারণে রাখাইনে এখন যেসব রোহিঙ্গা রয়েছেন, তাদের মধ্যে নতুন করে ভীতি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে কা নিউন ছুয়াং, মিন গা লার গি ও গার খু ইয়া—দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের এ তিন পয়েন্টে ট্রলার থেকে সৈন্যরা নেমেছেন। এর সীমান্ত পয়েন্টগুলোর মধ্যে অন্তত একটির দূরত্ব আন্তর্জাতিক সীমান্তের ২০০ মিটারের মধ্যে। ওই তিন পয়েন্টে মাছ ধরার ট্রলারের কাঠের নিচে বসিয়ে সৈন্যদের জড়ো করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে অন্তত এক দিনেই এক হাজারের বেশি মিয়ানমারের সৈন্যদের আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মিয়ানমারের অন্য আরেকটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, মিয়ানমারের সেনাদের মোতায়েনের একাধিক কারণ থাকতে পারে। একটা কারণ হতে পারে, সেনাসমাবেশ বাড়িয়ে নিজেদের উপস্থিতি আরও জোরদার করা। আরেকটা কারণ হতে পারে, তিন–চার বছর ধরে, বিশেষ করে যারা ২০১৭ সালের আগস্টের রোহিঙ্গা গণহত্যার অপারেশনে যুক্ত ছিল, তাদের দ্রুত সীমান্ত থেকে সরিয়ে নেওয়া। বিশেষ করে আইসিসিতে দুই সৈন্যের জবানবন্দি রেকর্ডের পর থেকে পুরোনো সেনাদের মিয়ানমার সরকার সীমান্ত থেকে ফেরত নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নতুন করে আর কোনো সৈন্য যাতে পক্ষ ত্যাগ করতে না পারে, সে বিষয়ে মিয়ানমার জোর দিচ্ছে।

এখনো রাখাইনে আবদ্ধ জীবন কাটছে রোহিঙ্গাদের। আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাদের সংঘাত সেখানে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। মিয়ানমার সেনাদের হাত থেকে এখন রেহাই পাচ্ছে না সেখানে অবস্থানরত বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরাও। গত মার্চ থেকে রাখাইনে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের অন্তত ১০টি গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইদানীং রাখাইনের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনও বুঝতে পারছেন, রোহিঙ্গারা চলে গেলে তাঁরা ভালো থাকবেন, সেটা দুরাশা ছাড়া কিছুই নয়।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team