সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ৯৫ ফাউন্ডেশন কাজিপুরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে জেলার পিপুল বাড়িয়া, সিমান্ত বাজার, আলমপুর চৌরাস্তা ও মেঘাই ঘাট এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড গেøাভস, সেনেটাইজার বিতরণ ও মাসব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা শুরু করেছেন। এই অভিযানে মাসব্যাপি পিপুলবাড়িয়া, সিমান্ত বাজার, আলমপুর চৌরাস্তা ও মেঘাই ঘাট এই চারটি এলাকার সকল ধরণের গণ পরিবহনে জীবানু নাশক স্প্র্রে করার মাধমে যাত্রী ও যানবাহন জীবানু ও করোনাভাইরাস মুক্ত করার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এই কার্যক্রম উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় আলমপুর চৌরাস্তায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের মাঝে ২ হাজার মাস্ক, ৪ হাজার হ্যান্ড গেøাভস, ৫ শ বোতল হ্যান্ড সেনেটাইজার বিতরণ করেন।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. লুৎফর রহমান, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সোলায়মান হোসেন, হাফিজুর রহমান, মোনারুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মিঠু, শুভগাছা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সহ নানা পেশাজীবীরা।
এ সময় ফোন কনফারেন্সে যোগদেন সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী আবু রায়হান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান জাকির, ফাউন্ডেশনের সি. সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন, সাংগঠনির সম্পাদক ছাব্বির আহমেদ ও উপদেষ্ঠা পুলিস সুপার জনাব নাছিরউদ্দিন যুবায়ের।
সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন- আমাদের জরুরী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সহজ হবে। সাবান-পানি দিয়ে ঘনঘন হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। যেখানে-সেখানে থুতু কফ ফেলা যাবে না। করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। যতদূর সম্ভব ঘরে থাকবেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাবেন না। মুসলমান ভাইয়েরা ঘরেই নামাজ আদায় করুন। অন্যান্য ধর্মের ভাইবোনদেরও ঘরে বসে প্রার্থনা করার আহবান জানায়।
সংগঠনের উপদেষ্ঠা পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন যুবায়ের বলেন- মানুষের প্রয়োজন গুলো দেখতে হবে। সুবিধা-অসুবিধা দেখতে হবে। কিন্তু ভাইরাস প্রতিরোধে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা বিদেশ থেকে আসছে তাদের অবশ্যই ‘কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গত্যাগ)’ রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন-নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাজারে যাতে পর্যাপ্ত থাকে, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। কেউ যেন পণ্য মজুদ করতে না পারে, সে জন্য কড়া নজরদারি রাখতে হবে। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের যে ভূমিকা, তা অবশ্যই যথাযথভাবে পালন করতে হবে। আর সকলকে জরুরী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহবান জানান।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন- করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও এর প্রাদুর্ভাব জনিত যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতার লক্ষ্যে আমরা সরকারের পাশাপাশি প্রস্তুত আছি। প্রয়োজনে প্রন্তিক জনগোষ্ঠির জন্য নিত্য পন্য ও জরুরী ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হবে।
সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান জাকির বলেন- সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণেই আমাদের সংগঠনটি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রন্তিক জন গোষ্ঠিকে কর্মবিরত রাখাটাই আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা সেইসব জনগোষ্টির পরিচ্ছন্নতার বিষয়টা আমলে নিয়ে উপজেলার চারটি স্থানে জীবানুমুক্ত করার জন্য মাসব্যাপি র্কাযক্রম হাতে নিয়েছি।দরকার হলে আরো বাড়ানো হবে। তিনি আরো বলেন এ কাজে স্থানিয় প্রশাসন তাহাদের পূর্নাঙ্গ সাহায্য সহযোহিতা করছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই