নাটোর প্রতিনিধি:
কতুয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির পর ছাড়পত্র চাওয়ায় নাটোরের সিংড়ায় প্রধান শিক্ষক শারদুল ইসলামের মারধরের শিকার হয়েছে রাশিদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে কতুয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে। রাশিদুল পৌর শহরের মহেশচন্দ্রপুর গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে ও দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র। রাশিদুল ইসলাম বর্তমানে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাশিদুল ইসলাম ২০১৮ সালে কতুয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরিক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে এ বছর দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হয়। ভর্তির তিন মাস অতিক্রম হওয়ার পর ঘটনার দিন সে স্কুলে যায় ছাড়পত্র নিতে। রাশিদুল স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক শারদুল ইসলামের কাছে ছাড়পত্র চাইলে প্রথমে তিনি গালে থাপ্পর এবং পরে লাঠি দিয়ে নির্মম ভাবে আঘাত করে। এ সময় প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীও উদ্দেশ্যে বলে “তুই অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছিস কেন? এখন পুলিশ ডেকে তোকে স্কুলে সন্ত্রাস করার অপরাধে ধরিয়ে দেবো”। মারধরের এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
রাশিদুলের বাবা কুরবান আলী বলেন, একই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে হবে এমন কোন বাধ্য বাধকতা নেই। অভিভাবক তার উচ্চ শিক্ষার জন্য ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখে সেখানে ভর্তি করায়। তবে একজন শিক্ষক ছাত্রকে এভাবে মারতে পারে জানা ছিলো না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শারদুল ইসলামের (০১৭৪৬১০৮৬০০) নম্বরে বার বার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, আমি তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। মারধরের সত্যতা প্রমাণ পেয়েছি, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর