খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এবং ‘মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলিতে’ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশ-র্যাব সদস্যসহ আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। সোমবার (২৮ মে) রাত থেকে মঙ্গলবার (২৯ মে) ভোর পর্যন্ত এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, নিহতের সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ঢাকায় নিহত ১
রাজধানীর দক্ষিণখানে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবারাত সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণখানে আশিয়ান সিটির মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন ওরফে খুকু সুমন (৩৫) ওই এলাকার একজন ‘চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা’ এবং তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনের চারটি মামলা রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নূরুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল রাতে আশিয়ান সিটির মাঠে অভিযানে যায়। পুলিশ সেখানে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের দিকে গুলি করে। পুলিশও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর তারা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে খুকু সুমনের লাশ পাওয়া যায়।
এসময় সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি ককটেল এবং এক হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানে দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং তাদের চিকিৎসার জন্য টঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ময়মনসিংহে নিহত ১
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিজান (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহত মিজান শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি।
সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার পাড়াগাঁও চটনপাড়া সামাদ ফকির বাড়ির পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ। বন্দুকযুদ্ধ শেষে মাদকও উদ্ধার করা হয়।
ডিবির ওসি আশিকুর রহমান জানান, কিছু মাদক ব্যবসায়ী ভালুকা উপজেলার ওই এলাকায় মাদক ভাগাভাগি করছে। এমন খবরে জেলা ডিবি পুলিশ ভালুকা মডেল থানা পুলিশকে নিয়ে সেখানে অভিযান চালায়।
এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাথারি গুলি ছুঁড়লে, পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে মিজান নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
‘বন্ধুকযুদ্ধে’ ভালুকা থানার ওসি তদন্ত আবুল কালাম আজাদ, এএসআই শাহ আলম আহত হন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন, তিনটি গুলির খোসা, ১টি রামদা, ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয় বলে জানান ডিবির ওসি আশিকুর।
কুষ্টিয়ায় নিহত ২
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার শেয়ালা মাঠ এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, তিন রাউন্ড গুলি এবং গুলির খোসা ও ২৭০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর এলাকার টাইটেল (৩৫) এবং মুন্সিগঞ্জ এলাকার মোকাদ্দেস (৩৬)। মোকাদ্দেস দৌলতপুর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকার মৃত রেজাউল হকের ছেলে ও ফজলুর রহমান টাইটেল একই উপজলার প্রাগপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।
কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাব্বিরুল ইসলাম জানান, দৌলতপুর উপজেলার শেয়ালা মাঠ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক কেনাবেচা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ ও দৌলতপুর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
যশোরে নিহত ২
যশোরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার মধ্যরাতের পর লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দুজন মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশ দাবি করেছে।
যশোর কোতয়ালী থানার ওসি আজমল হুদা জানান, যশোর শহরের চাঁচড়া রায়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত হন ওই এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে মানিক (২৭) ও সদর উপজেলার মণ্ডলগাতি গ্রামের জাহান আলীর ছেলে আহসান আলী (৫৬)। নিহত দুজনই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলেও জানান তিনি।
ওসি বলেন, মানিকের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় ৯টি ও আহসান আলীর বিরুদ্ধে ১১টি মাদক মামলা রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে দুইটি দেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ৫টি গুলির খোসা এবং ৬শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে সদর উপজেলার নোঙ্গরপুর এলাকা থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
কুমিল্লায় নিহত ২
কুমিল্লার মুরাদনগরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার গুঞ্জর বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার পৈয়া পাথর এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে লিটন ওরফে কানা লিটন (৩৬) ও বাখরনগর এলাকার সহিদ মিয়ার ছেলে বাতেন মিয়া (৩৪)।
মুরাদনগর থানার ওসি মনজুর আলম জানান, মুরাদনগর উপজেলায় মাদকের চালান পাচার হচ্ছে-এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল গুঞ্জর বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে।
এসময় এসআই মোজাম্মেল, এএসআই মাসুদুর রহমান ও রোকন আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মাদক ব্যবসায়ী লিটন ও বাতেনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, কানা লিটনের বিরুদ্ধে থানায় সাতটি মামলা ও বাতেনের বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল, একটি এলজি, একটি ছুরি ও একটি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গণপিটুনীতে নিহত ব্যক্তির নাম বুলি (৫৬), তার বাড়ি সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামে। তার বিরুদ্ধে ১৪টি ডাকাতির মামলা রয়েছে বলেও ওসি জানান।
ঠাকুরগাঁওয়ে নিহত ১
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হারুন (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার শীতলপুর এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন হরিপুর উপজেলার শীতলপুর এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ হরিপুর উপজেলার শীতলপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালান আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী হারুনের মরদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল কুদ্দুস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিপুর উপজেলার শীতলপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হারুন নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন।
তার বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি রুহুল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ‘মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলি’তে জনি মিয়া (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আখাউড়া পৌর এলাকার রেলওয়ে কলোনির পূর্ব পাশের খালাজোড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় পাইপ গানসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার এ খবর নিশ্চিত করেন।
নিহত জনি মিয়ার বাড়ি কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার খাইয়ার গ্রামে। পুলিশের দাবি, জনি মিয়ার বিরুদ্ধে আখাউড়াসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চোরাচালান ও মাদকসহ মোট ৮টি মামলা রয়েছে।
ওসি মোশারফ হোসেন তরফদার জানান, রাত তিনটার দিকে খালাজোড়া এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায় পুলিশ। এসময় আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন ও হাদিস উদ্দিন ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে তারা সেখান থেকে জনি মিয়ার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেন।
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, একটি কার্তুজ, দুইটি বড় ছোরা, একটি চাপাতি উদ্ধার করে। ওসি দাবি করেন, ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি ও মাদক ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটেছে।
সাতক্ষীরায় নিহত ১
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ‘মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলি’র ঘটনায় আনিছুর রহমান নামে একজন নিহত হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার, দুই রাউন্ড গুলি ও ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার দিনগত রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের চিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনিছুর উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত সুরত আলীর ছেলে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, রাতে দুই দল মাদক ব্যবসায়ী চিতলা এলাকায় মাদক ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় ‘গোলাগুলি’র শব্দ শুনে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইয়াবা সম্রাট আনিছুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি ও ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আনিছুরের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি বিপ্লব।
বরগুনায় নিহত ১
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ফিরোজ নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কুমড়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত ফিরোজ বেতাগী পৌরশহরের ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত হাসেম মৃধার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর একটি দল বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কুমড়াখালী এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় ফিরোজ ও তার সহযোগীরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালালে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে ফিরোজের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, দুই রাউন্ড গুলি, একটি শুটারগান, বন্দুকের তিনটি গুলি ২৫০টি ইয়াবা ও ৯০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করেছে র্যাব।
ওসি মো. মামুনুর রশিদ জানান, ফিরোজ মৃধা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী। ফিরোজের বিরুদ্ধে থানায় ৯টি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ