নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রাইভেট কারে সামান্য একটু লাগায় ব্যাটারি চালিত ভ্যান চালককে বেধড়ক রড দিয়ে পিটিয়েছেন এক প্রাইভেট কারের মালিক। রোববার বিকেল ৬টা ৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী মহানগরী এএইচএম কামারুজ্জামান (রেলগেট) চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। মার খাওয়া অটোরিক্সা চালক রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি এলাকার মৃত আছানের ছেলে রাজ্জাক। তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ফাটিয়ে ফেলে ও তার ভ্যানের মিটার ভেঙ্গে ফেলে। পরে জনতা মারপিটের দৃশ্য দেখে প্রাইভেট কার চালককে ঘিরে ফেলে। এরপর সেখানে কর্তব্যরত সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে।পরে তাকে শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রাইভেট কার চালকের মার খেয়ে আহত রিক্সা চালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, রোববার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে তিনি রেলগেট দিয়ে রিক্সা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে আসা ঢাকা-গ ০০০৫৩৫ নম্বরের একটি প্রাইভেট কারে সামান্য লেগে যায়। প্রাইভেট কারে লাগার কারণে কারের মালিক গাড়ী থেকে নেমে এসে গালিগালাজ দিতে শুরু করে। তখন ওই রিক্সা চালক তাকে ভুল স্বীকার করে বলেন, স্যার আমার ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দেন। তারপরও কার চালক গাড়ী থেকে রড বের করে রিক্সা চালককে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। এই দৃশ্য দেখে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে। রিক্সা চালক আরো জানান, তার বাড়ি বাঘা হলেও তিনি রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রা এলাকার রানা নামের একটি গ্যারেজের রিক্সা চালান। রিক্সাটি তার নিজের নয়। রিক্সা ভেঙ্গে দেওয়ায় তিনি বিপদের মধ্যে পড়েছেন। শুধু তাই না কার চালক রড দিয়ে পিটিয়ে তার পা ফাটিয়ে দিয়েছেন। তার রিক্সার ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার খরচ দাবি করেন তিনি। স্থানীয়রা সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় প্রাইভেট কারটিকে আটকে রাখে ও তার কাছে রিক্সা চালককে সামান্য কারণে মারধরের জবাব চায়। জনগন প্রাইভেট কার চালককে পাল্টা মারধর করার জন্য তেড়ে যায় কিন্ত পুলিশ বাধা দেয়। পরে কর্তব্যরত সার্জেন্ট শিরোইল পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাকে কারসহ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।প্রাইভেট কার চালকের সাথে কথা হলে তিনি রিক্সা চালক আব্দুর রাজ্জাককে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, ওই রিক্সা চালক আমার গাড়ীতে লাগিয়েছে তাই আমি তাকে মারধর করেছি। তখন তাকে আপনি রিক্সা চালককে মারধর করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সে কি আমার গাড়ীর ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে? তাই তাকে মারধর করেছি।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আরএস