খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ১০০তম দিন পার করল বাংলাদেশ। সংক্রমণ তুঙ্গে থাকার এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার। ধীরে ধীরে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হলেও তা যথার্থ নয়। সংক্রমণের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উপসর্গ দেখা দেওয়া প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সামনের সপ্তাহ থেকে ৩০ হাজার নমুনা পরীক্ষার টার্গেট নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এখনো সব জেলায় পিসিআর পরীক্ষার ল্যাব বসানো সম্ভব হয়নি। অতি দ্রুত সেটা কার্যকর করার পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট পদ্ধতি শুরু করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া বিকল্প কোনো পদ্ধতি তথা র্যাপিড টেস্ট কিংবা মুহূর্তের মধ্যে ফলাফল জানিয়ে দেবে এমন ডিভাইসের আশ্রয় নিতে পারে সরকার। সেটা নিয়ে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আমরা তো প্রতিদিনই টেস্ট বাড়ানোর চেষ্টায় আছি। তবে এভাবে ধীরে ধীরে নয়, আরো দ্রুত হারে টেস্ট বাড়ানোর জন্য কৌশল নিয়েছে সরকার। আগেও বলেছি, আমাদের টার্গেট একদিনে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১ লাখে নিয়ে যাওয়া। সেই টার্গেটের অংশ হিসেবে সামনের সপ্তাহেই একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, সারা দেশে বর্তমানে ৬০টি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই ল্যাব হয়তো আরো বাড়ানো হবে কিন্তু আমরা যে টার্গেটে যেতে চাই, সেটা এসব ল্যাব বাড়িয়ে সম্ভব নয়। বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে অনেক ধরনের ডিভাইস আবিষ্কার করা হয়েছে, যেগুলো মুহূর্তেই ফলাফল দেয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির অনুমোদনক্রমে আমরা সেসব ডিভাইসের কোনো একটি নিয়ে আসবো। এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এএইচআর