সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সাবেক মন্ত্রী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের গাড়ীতে ধাক্কা লাগার অভিযোগে মোতালেব হোসেন (৩৫) নামে এক সিএনজি চালককে প্রহার করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের সমেশপুর বাসষ্ট্যান্ডে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মোতালেব সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর হরিপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে।
সিএনজি চালক মোতালেব অভিযোগ করে জনান, মঙ্গলবার বিকালে সিরাজগঞ্জ থেকে বেলকুচি রিজার্ভ নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথে কদমতলী ইটভাটার কাছে আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের গাড়ি সহ আরো কয়েকটি গাড়ি দাড় করানো ছিলো। আমি তাদের পার করে সামলে তামাই নাগগাতী পৌচ্ছালে দেখি কয়েক জন লাঠিসোটা নিয়ে কয়েকটি সিএনজি দাড় করে রেখেছে। এ সময় তারা আমার গাড়ি দেখে এগিয়ে আসে। আমি মনে করেছিলাম গত কয়েক দিন ধরে সিএনজি মালিকদের মধ্যে সমস্যা চলছিল, হয়তো এই কারনেই সিএনজি ভাংচুর করা হচ্ছে। তাই আমি দূত স্থান ত্যাগ করি। এ সময় পথের আমবাড়িয়াতে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক রাস্তায় আমার গাড়ি গতিরোধ করার চেষ্টা করে। আমি তাদের পাস কাটিয়ে গেলে তার কয়েকটি গাড়ি নিয়ে আমার পিছে ধাওয়া করে। পরে কিছুদূর পরে সমেশপুরে ওয়াবদার ঢালে আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের গাড়ী আমার রাস্তার সামনে দাড়িয়ে আমায় গতি রোধ করে। এ সময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে আমাকে মারধর করে। পরে তার লোকজনেরা আমাকে মারধর করে। আমি সাবেক মন্ত্রী সাহেবের পাঁ ধরে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হয়নি। এমনি আমার পাশে থাকা আরও কয়েকজন সিএনজি চালককে বেদম মারধর করে।
এ বিষয়ে জেলা অটো টেমপু ও সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ জানান, আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাকর। পরে আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সাথে কথা বলে আমি মোতালেবকে নিয়ে আসি। তিনি আরো বলেন, সাবেক মন্ত্রীর গাড়ির লুকিং গ্লাস ভাঙ্গার কারনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে সাবেক মন্ত্রী ঘটনাস্থলে থাকার কারনে মোতালেবের তেমন কিছু হয়নি। এছাড়াও গত কয় দিন ধরে বেলকুচি মালিক সমিতির সাথে সিরাজগঞ্জ মালিক সমিতির মধ্যে দন্ধ চলছিলো।
ঐ সিএনজির যাত্রী উপজেলার নিশিবয়ড়া গ্রামের ছাইফুল ইসলাম বাবু, তামাই কলিয়াপাড়া গ্রামের ইসলাম ও তামাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের মাকসুদ রহমান জানান, বেলকুচি থেকে সিরাজগঞ্জের দিকে সিএনজি নিয়ে যাচ্ছিলাম। সমেশপুর পৌছা মাত্র সিএনজিকে গতিরোধ করে। এমন সময় গাড়ী থেকে নেমে এসে সাবেক মন্ত্রী সাহেব সিএনজি চালককে মারধর করে। চালক সাবেক মন্ত্রী সাহেবের পাঁ ধরে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হয়নি।
এ ব্যাপারে সাবেক মন্ত্রী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য তাকে আমি স্বাসন করেছি। তার গায়ে কেও হাত দেয়নি।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ